অনলাইনে ডেবিট কার্ড বা ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে লেনদেন করেন? অনলাইনে কেনাকাটি করেন? তাহলে সেই প্রক্রিয়া আরও সহজ হয়ে গেল। শুধু তাই নয়, জালিয়াতি রুখতে আরও সুরক্ষা বাড়াল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (আরবিআই)। কী পরিবর্তন হল, আপনার উপরে কী প্রভাব পড়বে, তা দেখে নিন।
1/5 অনলাইন লেনদেনের ক্ষেত্রে জালিয়াতি রুখতে ইতিমধ্যে টোকেনাইজেশন প্রক্রিয়া চালু করা হয়েছে (ক্রেডিট এবং ডেবিট কার্ড)। এবার সেই প্রক্রিয়াটা আরও সহজ করা হল। এতদিন অনলাইনে কেনাকাটি বা ই-কমার্স সাইট থেকে কোনও জিনিস অর্ডার দেওয়ার সময় গ্রাহকরা শুধুমাত্র মার্চেন্ট পেজ থেকে টোকেন জেনারেট করতে পারতেন। নয়া নিয়ম অনুযায়ী, সরাসরি ব্যাঙ্ক থেকে টোকেন জেনারেট করতে পারবেন তাঁরা। অর্থাৎ একটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই একাধিক মার্চেন্ট সাইটে টোকেনাইজ করা যাবে। (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্যে এপি)
2/5 কীভাবে বিষয়টি কাজ করবে? রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার (আরবিআই) তরফে জানানো হয়েছে, যাঁরা নিজেদের ক্রেডিট কার্ড বা ডেবিট কার্ড টোকেনাইজ করতে চান, তাঁরা সরাসরি নিজেদের ব্যাঙ্ক থেকেই টোকেন তৈরি করতে পারবেন। সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কের ওয়েবসাইট বা অ্যাপের (নেট ব্যাঙ্কিং বা মোবাইল ব্যাঙ্কিং) মাধ্যমে টোকেন তৈরি করে তা অনলাইনের মার্চেন্ট সাইটের সঙ্গে যুক্ত করতে পারবেন। আর লেনদেন করতে সক্ষম হবেন। (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্যে রয়টার্স)
3/5 ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের তরফে জানানো হয়েছে, একবার সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্ক থেকে সরাসরি টোকেন তৈরি করার পর তা মার্চেন্ট সাইটের সঙ্গে যুক্ত করে নিলেই আর কোনও চিন্তা থাকবে না গ্রাহকের। তাঁরা দিতে পারবেন টাকা। যাঁরা নিজেদের প্রয়োজন মতো সেই কাজটা করতে পারবেন। আর তাঁদের সম্মতি পেলে তবেই টোকেন তৈরি করা যাবে বলে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের তরফে জানানো হয়েছে। (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্যে Pixabay)
4/5 রিজার্ভ ব্যাঙ্কের পরিভাষায় সেই প্রক্রিয়ার নাম হল 'কার্ড-অন-ফাইল টোকেনাইজেশন' (Card-on-File Tokenisation - CoFT)। যা আদতে ১৬ সংখ্যা-বিশিষ্ট একটি নম্বর। আরবিআইয়ের তরফে বলা হয়েছে, 'যে ব্যাঙ্ক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান কার্ড (ডেবিট কার্ড বা ক্রেডিট কার্ড) ইস্যু করছে, সেই ব্যাঙ্কের মাধ্যমে কার্ড-অন-ফাইল টোকেনাইজেশন প্রক্রিয়া চালু করা হল।' (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্যে Pixabay)
5/5 টোকেনাইজেশন প্রক্রিয়া কেন চালু করা হয়েছে? বর্তমানে অনলাইনে আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে যেভাবে জালিয়াতির ঘটনা বেড়েছে, তাতে রাশ টানতেই সেই প্রক্রিয়া চালু করা হয়েছে। ওই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কেউ অনলাইনে কেনাকাটির পরে যদি টাকা মিটিয়ে দেন, তাহলে তাঁদের কার্ডের আসল তথ্য প্রকাশ হয়ে যায় না। ফলে প্রতারকরা সহজেই টাকা হাতিয়ে নিতে পারে না। (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্যে Pixabay)