বাংলা নিউজ >
ছবিঘর > Reason of Haryana Violence: মনু মানেসার - এই এক ব্যক্তিকে কেন্দ্র করেই হিংসা ছড়িয়েছে হরিয়ানায়, জানুন ঘটনাটা কী
Reason of Haryana Violence: মনু মানেসার - এই এক ব্যক্তিকে কেন্দ্র করেই হিংসা ছড়িয়েছে হরিয়ানায়, জানুন ঘটনাটা কী Updated: 01 Aug 2023, 09:22 AM IST Abhijit Chowdhury গতকাল একটি ধর্মীয় মিছিলকে আটকানোর অভিযোগে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে হরিয়ানার নুহ্ এবং গুরুগ্রাম জেলায়। তবে ঠিক কী কারণে এই মিছিল আটকানো হয়েছিল? কেন দিকে দিকে সেই হিংসা ছড়িয়ে পড়ে? জানা গিয়েছে, এই গোটা হিংসার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে একজন বজরং দল কর্মী। 1/5 হরিয়ানার বজরং দল কর্মী মনু মানেসারকে কেন্দ্র করেই সেখানের নুহ্ এবং গুরুগ্রাম জেলায় গতকাল হিংসা ছড়ায়। অভিযোগ, বজরং দলের সেই কর্মী একটি আপত্তিকর ভিডিয়ো পোস্ট করেছিলেন সোশ্য়াল মিডিয়ায়। তারপর থেকেই এনিয়ে শোরগোল ছড়িয়েছিল। ওই ব্যক্তি এবং তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে একাধিক ফৌজদারি মামলাও রয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে। 2/5 বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সেই মিছিলে সেই বজরং দল কর্মী থাকবেন বলে দাবি জানিয়েছিলেন। মনু এই নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় কার্যত খোলা চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছিলেন। আর তারপরেই সেই মিছিল আটকানো হয়। মূলত এই বজরং দল কর্মীর জেরেই হিংসা ছড়িয়ে পড়ে। চলে গুলিও। মৃত্যু হয় দুই হোমগার্ড সহ অন্তত তিন জনের। এই গোটা ঘটনা সাম্প্রদায়িক হিংসার আকার ধারণ করে। 3/5 দাবি করা হয়েছে, এই মনু মানেসারের বিরুদ্ধে ভিওয়ানিতে দুই মুসলিম ব্যক্তিকে খুন করার অভিযোগ দায়ের হয়েছে। গত ফেব্রুয়ারির সেই ঘটনায় মনু এবং আরও ২০ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়েছিল। অভিযোগ, দুই মুসলিম যুবককে অপহরণ করে খুন করা হয়েছিল। একটি পুড়ে যাওয়া গাড়ি থেকে ১৬ ফেব্রুয়ারি সেই দুই মুসলিম যুবকের দেহ উদ্ধার করা হয়েছিল। 4/5 এদিকে সেই মামলায় পুলিশ এখনও মনুকে ধরতে পারেনি। সে এখনও পলাতক। তবে সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়ে যেখানে মনু নিজে দাবি করে যে সে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের উদ্যোগে ব্রিজ মণ্ডল জলাভিষেক যাত্রায় সামিল থাকবে। এই আবহে গুরুগ্রাম আলওয়ার হাইওয়েতে এই যাত্রা থামান কয়েকজন। এরপরই মিছিলকে লক্ষ্য করে পাথর ছোঁড়া হয়। সরকারি ও বেসরকারি গাড়িকে লক্ষ্য পাথর ছোঁড়া হয়। সেই সময় পাশের এক শিবমন্দির চত্বরে আশ্রয় নেন প্রায় ২৫০০ মানুষ। 5/5 সন্ধ্যার দিকে গুরুগ্রাম সোহনা হাইওয়েতে হিংসা ছড়াতে থাকে। একাধিক গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। ঘটনার জেরে বেশ কিছু বাড়িঘর, দোকানেও আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। ধর্মস্থানেও হামলা হয়। পুলিশকে লক্ষ্য করেও চলে ইট বৃষ্টি। হিংসার ঘটনায় দুই হোমগার্ড সহ অন্তত তিনজনের মৃত্যু ঘটেছে। মৃত হোমগার্ডদের নাম - নীরজ এবং গুরুসেবক। ঘটনায় জখম আরও অন্তত ২০০ জন।