দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর বুধবার থেকে কানাডায় ফের একবার ই-ভিসা পরিষেবা চালু করেছে ভারত। এই আবহে ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর বললেন, 'তুলনামূলক ভাবে ভারত ও কানাডার কূটনৈতিক সম্পর্কের উন্নতি ঘটেছে।' জি২০ নেতাদের ভার্চুয়াল বৈঠকের পর এই নিয়ে মুখ খোলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী।
1/5 কানাডার নাগরিকদের জন্য ই-ভিসা পরিষেবা চালুর বিষয়ে এস জয়শংকর বলেন, 'আমরা এর আগে সাময়িক ভাবে ভিসা পরিষেবা স্থগিত রেখেছিলাম কানাডায়। কারণ সেখানে যা পরিস্থিতি ছিল, তাতে আমাদের হাইকমিশন কর্মীদের অফিসে যাওয়া কষ্টকর হয়ে পড়েছিল। এই আবহে তারা অফিসে গিয়ে ভিসা প্রক্রিাকরণের কাজ করতেই পারছিলেন না। তবে সাম্প্রতিককালে সেখানে ভারতী হাইকমিশন কর্মীদের নিরাপত্তা বৃদ্ধি পেয়েছে। পরিস্থিতি আগের তুলনায় ভালো হয়েছে।'
2/5 এস জয়শংকর আরও বলেন, 'বেশ কিছু ক্ষেত্রে ফিজিকাল ভিসা দেওয়ার কাজ আগেই শুরু করেছিল ভারত। আমরা জানিয়েছিলাম, এরপরে আমরা ই-ভিসা চালুর দিকে নজর দেব। সেই মতোই ফের একবার কানাডার নাগরিকদের জন্য ই-ভিসা পরিষেবা চালু করেছে ভারত। বর্তমান পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে আমরা মনে করেছি, ভিসা পরিষেবাগুলি ক্রমান্বয়ে পুনরায় চালু করা সম্ভব।'
3/5 প্রসঙ্গত, কয়েক মাস আগে কানাডার ব্রিটিশ কলাম্বিয়া প্রদেশে বন্দুকবাজদের হামলায় মৃত্যু হয়েছিল খলিস্তানি জঙ্গি হরদীপ সিং নিজ্জরের। সেই ঘটনার পর বেশ কয়েকদিন পর জি২০ বৈঠকে অংশ নিতে ভারতে এসেছিলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। ভারতের মাটিতে দাঁড়িয়ে খলিস্তানি আন্দোলনকে পরোক্ষভাবে সমর্থন করে যান তিনি। পরে নিজের দেশে ফিরে কানাডার সংসদে দাঁড়িয়ে ট্রুডো অভিযোগ করেন, হরদীপ হত্যাকাণ্ডে হাত থাকতে পারে ভারতের। আর তারপরই সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে ঠেকে দুই দেশের।
4/5 এদিকে কানাডার তরফ থেকে ভারতের এক হাইকমিশন আধিকারিককে বহিষ্কার করা হয়েছিল এই আবহে। জবাবে ভারতও কানাডার এক হাইমকমিশন আধিকারিককে বহিষ্কার করে। পরে ভারতের নিযুক্ত কানাডার ৪১ জন কূটনীতিককে দেশ ছাড়তে বলেছিল বিদেশ মন্ত্রক। এই সবের মাঝে ভারতের দাবি মেনে কূটনীতিকদের ভারত থেকে সরিয়ে নিতে বাধ্য হয়েছিল কানাডা। অবশ্য, দুই দেশের সম্পর্ক ঠিক করতে আলোচনাও জারি ছিল।
5/5 কানাডা সরকার আবার নিজের দেশের নাগরিকদের উদ্দেশে নির্দেশিকা জারি করে জানায়, ভারতে এলে হেনস্থান শিকার হতে পারেন তারা। এই পরিস্থিতিতে কানাডার নাগরিকদের ভিসা দেওয়া বন্ধ করে দেয় ভারত। আর এত কিছুর মাঝে হরদীপ নিজ্জরের হত্যাকাণ্ড নিয়ে তোলা অভিযোগের ভিত্তিতে কোনও প্রমাণ ভারতের হাতে তুলে দেয়নি কানাডা। তবে এতকিছুর মাঝেই ফের একবার কানাডার নাগরিকদের জন্য ই-ভিসা পরিষেবা চালু করল ভারত।