বাংলা নিউজ >
ছবিঘর > Sedition Case in Supreme Court: কতটা বৈধ রাষ্ট্রদ্রোহ সংক্রান্ত আইন, খতিয়ে দেখতে পারে SC-র ৭ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ
Sedition Case in Supreme Court: কতটা বৈধ রাষ্ট্রদ্রোহ সংক্রান্ত আইন, খতিয়ে দেখতে পারে SC-র ৭ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ Updated: 23 Nov 2023, 01:01 PM IST Abhijit Chowdhury রাষ্ট্রদ্রোহ আইনের বৈধতা নির্ণয়কারী মামলাটি সাত সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চের কাছে যেতে পারে বলে ইঙ্গিত মিলেছে। উল্লেখ্য, ১৯৬২ সালে পাঁচ সদস্যের সুপ্রিম বেঞ্চ ১২৪এ ধারাটিকে বৈধ আখ্যা দিয়েছিল। তাই এবার সেই একই মামলার নির্ধারণ করতে পারে আরও বৃহত্তর বেঞ্চ। তাই সাত সদস্যের বেঞ্চে এই মামলা পাঠানো হতে পারে। 1/5 ব্রিটিশ জমানার রাষ্ট্রদ্রোহ আইনের বদলে নয়া বিধান আনার বিষয়ে সম্প্রতি ঘোষণা করেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ভারতীয় দণ্ডবিধি এবং সিআরপিসির বদলে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা বিল, ২০২৩ পেশ করা হয়েছিল সংসদে। এরই মাঝে এবার রাষ্ট্রদ্রোহ আইনের বিরোধিতায় দায়ের মামলাগুলি যেতে চলেছে বৃহত্তর সাংবিধানিক বেঞ্চের কাছে। সাধারণত পাঁচ সদস্যের বেঞ্চে যায় এই ধরনের মামলা। তবে এটি যেতে পারে ৭ সদস্যের বেঞ্চের কাছে। 2/5 ভারতীয় দণ্ডবিধির যে ১২৪এ ধারা রাষ্ট্রদ্রোহকে অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করে, সেই ধারার বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে একাধিক আবেদন জমা পড়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। বর্তমানে এই আইনটি স্থগিত রয়েছে। এই আইনের অধীনে কাউকে গ্রেফতার করা যাবে না। তবে এই আইনটি এখনও বাতিল হয়নি। এই আবহে এই সংক্রান্ত মামলা যাতে বৃহত্তর বেঞ্চের কাছে না পাঠানো হয়, কেন্দ্রের তরফে শীর্ষ আদালতের কাছে সেই আর্জি জানানো হয়েছিল। তবে কেন্দ্রের সেই আর্জিতে আমল করেনি আদালত। আর বুধবার শীর্ষ আদালত ইঙ্গিত করল, এই মামলাটি ৭ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চের কাছে পাঠানো হতে পারে। 3/5 এই আবহে গত সেপ্টেম্বরই শীর্ষ আদালতের রেজিস্ট্রারকে নির্দেশ দেওয়া হয়, রাষ্ট্রদ্রোহ আইনের বিরোধিতায় জমা পড়া আবেদনগুলি যাতে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের কাছে পাঠনো হয়। যাতে তিনি এই মামলাটিকে পাঁচ সদস্যের সাংবিধানির বেঞ্চের কাছে পাঠাতে পারেন। এর আগে এই আইন নিয়ে পর্যালোচনার সময় আইন কমিশন প্রস্তাব দিয়েছিল যে এই আইনে কিছু বদল আনা উচিত। তবে তা বাতিল যেন না করা হয়। 4/5 এর আগে ২০২২ সালের মে মাসে রাষ্ট্রদ্রোহ আইন স্থগিত করে সুপ্রিম কোর্ট জানায়, যতদিন ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২৪এ ধারার বৈধতা নিয়ে পুনর্বিবেচনা প্রক্রিয়া চলছে ততদিন যেন রাজ্য বা কেন্দ্র এই আইনে কারও বিরুদ্ধে মামলা রুজু না করে। সেইসঙ্গে সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দেয়, যাঁরা রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় জেলবন্দি আছেন বা মামলা চলছে, তাঁরা নিজেদের বক্তব্য নিয়ে ট্রায়াল কোর্টের দ্বারস্থ হতে পারেন। এই মর্মে সব রাজ্যের মুখ্য সচিবকে চিঠি পাঠানো হয়েছিল। 5/5 এদিকে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২৪এ ধারার বদলে নয়া ভারতীয় ন্যায় সংহিতা বিলে ১৫০ নং ধারা আনার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। এই সংহিত বিল ইতিমধ্যেই লোকসভায় পেশ হয়েছে। নয়া বিলের ১৫০ নং ধারায় বলা হয়েছে, কেউ জেনে বুঝে যদি মৌখিক ভাবে বা লিখিত ভাবে দেশের অখণ্ডতারে ক্ষুণ্ণ করার চেষ্টা করে। বা কেউ আর্থিক মদত দিয়ে দেশের সার্বভৌমত্বে আঘাত হানে বা বিচ্ছিনাবাদে পরোক্ষ বা সরাসরি যুক্ত থাকে তাহলে আজীবন কারাবাসের সাজা শোনানো হবে। প্রয়োজনে সেই সাজার মেয়াদ ৭ বছর বাড়িয়ে দেওয়া হবে। সঙ্গে মোটা অঙ্কের জরিমানা করা হবে।