বাংলা নিউজ >
ছবিঘর > Shashi Panja on Tajpur Port: মমতার কথায় তৈরি হয় ধন্দ, এবার শশী বললেন, 'তাজপুর নিয়ে কথা চলছে আদানিদের সঙ্গে'
Shashi Panja on Tajpur Port: মমতার কথায় তৈরি হয় ধন্দ, এবার শশী বললেন, 'তাজপুর নিয়ে কথা চলছে আদানিদের সঙ্গে' Updated: 27 Nov 2023, 08:47 AM IST Abhijit Chowdhury সদ্য সমাপ্ত বিশ্ববাংলা বাণিজ্য সম্মেলনে আমন্ত্রিত হয়েও আসেননি আদানি। এদিকে তাজপুরে বন্দর তৈরির জন্য নতুন করে টেন্ডার ডাকার ঘোষণা করেছিলেন মমতা। এই সবের মাঝে তাজপুর বন্দর নিয়ে তৈরি হয়েছিল ধোঁয়াশা। সেই ধোঁয়াশা কাটাতে এবার মুখ খুললেন রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা। 1/6 তাজপুর গভীর বন্দরের টেন্ডার প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করেছিল আদানি গোষ্ঠী। তারা দরপত্রও পায় এই প্রকল্পের জন্য। সরকারের থেকে অনুমোদন মিললেও সেখানে কাজ শুরু করেনি তারা। এই আবহে সদ্য সমাপ্ত বিশ্ববাংলা বাণিজ্য সম্মেলনের মঞ্চ থেকে নতুন করে তাজপুর নিয়ে দরপত্র ডাকার ঘোষণা করেছিলেন মমতা। যা নিয়ে তৈরি হয়েছিল ধন্দ। প্রশ্ন ওঠে, চলমান বিতর্কের মাঝে কি তবে আদানিরা তাজপুর বন্দর প্রকল্প থেকে সরে দাঁড়িয়েছে? এরই মধ্যে বিজেপির তরফে দাবি করা হয়, তাজপুর নয়, মন্দারমণিতে বন্দর তৈরিতে আগ্রহী আদানিরা। 2/6 এই সব বিতর্কের মাঝেই তাজপুর বন্দর ইস্যুতে মুখ খুললেন রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী শশী পাঁজা। রবিবার তিনি জানান, বন্দর তৈরির বিষয়ে কেন্দ্রের কাছে অনুমতি চাওয়া হয়েছিল। কেন্দ্র কিছু বিষয় নিয়ে ব্যাখ্যা চেয়েছে। তা নিয়েই আদানি গোষ্ঠাীর সঙ্গে রাজ্যের কথা চলছে। এই আবহে প্রশ্ন উঠছে তাজপুর বন্দর নিয়ে বিজিবিএসে মুখ্যমন্ত্রী যে টেন্ডারের কথা বলেছিলেন, তাহলে সেটা কী নিয়ে ছিল? 3/6 দিল্লিতে ইন্ডিয়া ইন্টারন্যাশেনাল ট্রেড ফেয়ারে বাংলার মন্ত্রী বলেন, 'বন্দর তৈরির জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের জাহাজ মন্ত্রক, প্রতিরক্ষা মন্ত্রক, বিদেশ মন্ত্রক এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অনুমোদনের প্রয়োজন হয়। ভারত সরকার প্রাথমিক একটি ছাড়পত্র দিয়েছে, তবে তার সঙ্গে একটি পর্যবেক্ষণের কথাও জানিয়েছে। কেন্দ্রের এই পর্যবেক্ষণের উপর আমরা এবং আদানি গোষ্ঠী কাজ করছি এবং কিছু ছাড়পত্র চেয়েছি। মুখ্যমন্ত্রীর তরফ থেকেই আমি বলছি, আদানি গ্রুপ এবং রাজ্য সরকারের মধ্যে এখনও তাজপুর বন্দর নিয়ে আলোচনা চলছে।' 4/6 এদিকে তাজপুর নিয়ে টেন্ডার ডাকা নিয়ে মমতার ঘোষণার পর বিজেপি দাবি করে, বিজেপি বলতে শুরু করে সরকার নয়, আদানিরা নিজেরাই তাজপুর বন্দরের চুক্তি বাতিল করে। উল্লেখ্য, মহুয়া বিতর্কের মাঝেই বাণিজ্য সম্মেলনে আমন্ত্রিত ছিলেন গৌতম আদানি এবং তাঁর ছেলে। তবে তাঁরা আসেননি সম্মেলনে যোগ দিতে। এই আবহে তৈরি হয়েছিল ধোঁয়াশা। মমতার তাজপুর টেন্ডার ঘোষণায় তা আরও বৃদ্ধি পায়। আর এখন শশী পাঁজার বক্তব্যতেও সেই ধন্দ পুরোপুরি দূর হয়নি। 5/6 এদিকে এর আগে বিজেপির দাবি করেছিল, আদানিদের উপদেষ্টা সংস্থা ডিএইচআই নাকি আগেই জানিয়েছিল, তাজপুরে গভীর সমুদ্র বন্দর লাভজনক হবে না। এদিকে বাণিজ্য সম্মেলনের মঞ্চ থেকে এই বন্দরের জন্য ২৫ হাজার কোটি বিনিয়োগের কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। এই আবহে বিজেপির প্রশ্ন, সবকিছু জেনেও কেন বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের মঞ্চে তাজপুরের কথা ঘোষণা করলেন মমতা? 6/6 এদিকে বিজেপি আরও দাবি করে, গত জুন-জুলাই মাসে মনদারমণিতে গিয়ে আদানিরা জমি পরিদর্শন করে এসেছিল। সেই সময় পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন এবং রাজ্য সরকারের প্রতিনিধিরাও ছিলেন। এমনকী সেখানে বন্দর তৈরির জন্য জমি চিহ্নিত করে ফেলেছে সরকার। কেন্দ্রীয় জাহাজ মন্ত্রকে এই নিয়ে চিঠি পাঠিয়েছে রাজ্য সরকার। মন্দারমণির প্রকল্প নিয়ে বিজেপির অভিযোগ, আদানিদের সঙ্গে আড়ালে হাত মিলিয়েছে মমতার সরকার। এই আবহে গোপনে জমি অধিগ্রহণের চেষ্টা চলছে।