কলকাতা হাই কোর্টের রায়ে ২৫ হাজার ৭৫৩ জন শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর চাকরি বাতিল হয় সম্প্রতি। আদালত জানিয়েছিল, যোগ্যদের তালিকা এসএসসি দেয়নি। তাই এই ব্যবস্থা নিতে হয়। প্রথমে সেই দাবি খণ্ডন করেছিল এসএসসি। তবে এবার কমিশন প্রধান কার্যত সেই অভিযোগ মেনে নিলেন।
1/5 এসএসসির মাধ্যমে ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ার প্যানেল পুরোটাই বাতিল করে দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট। সেই নির্দেশিকাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে এসএসসি। এই আবহে এসএসসি চেয়ারম্যান দাবি করেছিলেন, অযোগ্যদের তালিকা আদালতকে দেওয়া হয়েছিল। তবে এবার কবুল করলেন চাকরিহারাদের মধ্যে কারা যোগ্য, তা বলা সম্ভব নয়।
2/5 কী বললেন এসএসসি চেয়ারম্যান? সিদ্ধার্থ মজুমদারের কথায়, 'সবাইকে যোগ্য বলে শংসাপত্র দেব কী ভাবে? নানা ধরনের কারচুপি থাকতে পারে। কারও অ্যাকাডেমিক নম্বর বাড়ানো থাকতে পারে, ইন্টারভিউ নম্বর বাড়ানো হয়ে থাকতে পারে। প্রত্যেক পরীক্ষার্থীর মাধ্যমিকের নম্বর থেকে শুরু করে সব কিছু খুঁটিয়ে দেখা সম্ভব নয়। এর পরে যদি ওই তালিকা থেকে আরও ৩০ জনের বেআইনি নিয়োগ বেরোয়, তখন কী হবে? তাই 'সবাই যোগ্য কি না নিশ্চিত নই' এই কথাটা বলেছি।'
3/5 উল্লেখ্য, কলকাতা হাই কোর্টের চাকরি বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে স্পেশাল লিভ পিটিশন দাখিল করেছে এসএসসি। তারপরে সিদ্ধার্থ মজুমদার দাবি করেছিলেন, যোগ্য এবং অযোগ্যদের তালিকা কলকাতা হাই কোর্টে জমা দিয়েছিল এসএসসি। গত ১৩ ডিসেম্বর হলফনামা জমা দেওয়া হয়। তাতে আদালত সন্তুষ্ট না হওয়ায় আবার ১৮ তারিখ হলফনামা জমা দেওয়া হয়। তবে এবার তিনি কবুল করে নিলেন, কারা যোগ্য, কারা অযোগ্য, সেটা বলা এসএসসির পক্ষে বলা সম্ভব নয়।
4/5 প্রসঙ্গত, গত ২২ এপ্রিল বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি মহম্মদ সবির রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ রায়দান করে বলে, ২০১৬ সালে গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি, নবম-দ্বাদশে নিয়োগ পাওয়া এসএসসি চাকরিপ্রাপকদের সবার চাকরি বাতিল হবে। পর্যবেক্ষণে উচ্চ আদালত বলে, মেয়াদ উত্তীর্ণ প্যানেলে যারা চাকরি পেয়েছেন তাদের চাকরি বৈধ হতে পারে না।
5/5 অন্যদিকে চাকরিহারাদের ৪ সপ্তাহের মধ্যে সব বেতন ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট। প্রাপ্ত বেতনের ওপর ১২ শতাংশ হারে সুদ দিতে হবে চাকরিহারাদের। এর জন্যে চাকরিহারাদের ৪ সপ্তাহ সময় দিয়েছে হাই কোর্ট। এই টাকা জেলাশাসকের কাছে জমা করতে হবে তাঁদের। পরে জেলাশাসক পরবর্তী ২ সপ্তাহের মধ্যে ওই টাকা হাই কোর্টে জমা দেবেন। পরে ২৪ এপ্রিল হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় স্কুল সার্ভিস কমিশন।