মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে নাকি কোনও টাকা তিনি নেন না। বিগত প্রায় এক যুগ ধরে এটাই দাবি করা হয়ে আসছে। এহেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আয়ের উৎস কী? বই লিখে, ছবি এঁকে মমতা উপার্জন করেন বলে দাবি করা হয়েছে দলীয় সূত্রে। মমতা নিজেও সেই কথা বলেছেন। তবে এবার মমতার ব্যক্তিগত বিষয়ে প্রশ্ন তুললেন সুকান্ত মজুমদার।
1/5 মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আয়ের উৎস নিয়ে প্রশ্ন তুললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। মমতার শাড়ি, ফোনের দাম নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। উল্লেখ্য, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অ্যাপলের আইফোন ব্যাবহার করেন, যার দাম বেশ অনেক। তবে দীর্ঘদিন ধরে মমতার 'চটি পরা নেত্রীর' ভাবমূর্তির সঙ্গে এই দামি ফোন খাপ খায় না। আর তা নিয়েই প্রশ্ন তুললেন সুকান্ত।
2/5 এই বিষয়ে মঙ্গলবার সুকান্ত বলেন, 'মমতার হাতে যে অ্যাপলের ফোটনা আছে, সেটা তিনি কোথা থেকে কিনেছেন? তিনি যদি ভাতা না নিয়ে থাকেন, তাহলে কি বিনামূল্যে কেই তাঁকে এই ফোনটা দিয়েছেন? এখনকার দিনে কেউ যদি কাউকে ফ্রিতে কিছু দেয়, তাহলে স্বার্থ ছাড়া তো তা দেবে না।'
3/5 এদিকে মমতার শাড়ি নিয়েও প্রশ্ন তোলেন বিজেপি সাংসদ। তাঁর দাবি, মমতা যে শাড়ি পরেন, সেরকম শাড়ি আর বাংলায় পাওয়া যায় না। সুকান্ত বলেন, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ডিজাইন করা শাড়ি পরেন। ওই শাড়ির এক কপি কেউ এনে দিতে পারবেন আমায়? আমি চ্যালেঞ্জ করছি, ওই শাড়ি বাংলার বাজারে মিলবে না।' মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে সুকান্ত প্রশ্ন ছুড়ে দেন, ডিজাইনার কি মমতাকে বিনামূল্যে শাড়ি দেন? আর তা না হলে এই শাড়ি কেনার টাকা কোথা থেকে পান মমতা?
4/5 এদিকে মমতার পোশাক এবং ফোন নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই পালটা মোদীর দশলাখি স্যুটের প্রসঙ্গ টেনে আক্রমণ শানিয়েছে তৃণমূল। কলকাতার মেয়র তথা রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ এই বিষয়ে বলেন, 'মোদী ১০ লক্ষ টাকার স্যুট কার টাকায় পরেন?মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হলেন সততার প্রতীক। তাঁকে বাংলার মানুষ তিনবার মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে নির্বাচিত করেছে। আর এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে সুকান্ত মজুমদার সার্টিফিকেট দেবেন?'
5/5 এদিকে সুকান্তর এই মন্তব্যের নিন্দা করেছেন সিপিএম-এর রাজ্য সাধারণ সম্পাদক মহম্মদ সেলিমও। এই বিষয়ে তিনি বলেন, 'বিজেপি নেতাদের এই সব বলার কোনও অধিকারই নেই। কে কী শাড়ি পরে, কোন গাড়িতে চড়ে এই সব প্রশ্ন করা উচিত নয়। আমরা ব্যক্তিগত বিষয় সামনে আনি না। আনা উচিৎ নয়। আর সুকান্তর এটুকু জানা উচিৎ মহিলাদের পোশাক নিয়ে মন্তব্য করতে নেই।'