এই রোগের লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে দুর্বল লাগা সহ একাধিক বিষয়। এতে বমিবমি-ভাব, মাথা ঘোরা,দুর্বলতা, অ্যাংজাইটি, বিভ্রান্তি, বুকে ব্যথার মতো সমস্যা হতে পারে। এছাড়াও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে পেশিতেও ব্যথা হতে পারে।
1/6 কথায় বলে মাছে-ভাতে বাঙালি। মাছ, মাংস ছাড়া বাঙালি বাড়ির হেঁশেল ভাবাই যায় না! যে বাড়িতে লাউ বাজার থেকে এলেও তা মাছের মাথা দিয়ে রান্নার কথা ভাবা হয়, আর রবিবার দুপুরে খাসি কিম্বা মুরগির মধ্যে একটা মাংসের ঝোল তো হবেই! তবে শুধুই প্রাণিজ প্রোটিন নয়, শরীরকে শাক-সবজির পুষ্টিও দেওয়া প্রয়োজন। বলছেন চিকিৎসকরা। বিশ্ব হাইপারটেনশন দিবসে দেখে নেওয়া যাক, এই হাইপারটেনশনের কিছু লক্ষণ। সঙ্গে তার 'কারণ' ও 'চিকিৎসা'-ও দেখে নেওয়া যাক।
2/6 গোটা বিশ্বের প্রায় ৭০০ মিলিয়ন মানুষ, হাইপারটেশনের রোগে ভুগেও চিকিৎসা করান না। ২০২১ সালে লন্ডনের ইম্পেরিয়াল কলেজ ও হু-এর একটি গবেষণা প্রকাশিত হয় ল্যানসেট পত্রিকায়। সেখানেই এই তথ্য উঠে আসে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে ৩০ থেকে ৭৯ বছরের বয়সীদের মধ্যে হাইপারটেনশনের রোগ সবচেয়ে বেশি।
3/6 হাইপারটেনশনের যে সমস্ত উপসর্গ রয়েছে তার মধ্যে একাধিক এমন লক্ষণ রয়েছে যা প্রায়সই অনেকের জীবনে দেখা যায়। সকালে উঠে যদি মাথার যন্ত্রণা নিত্যদিন লেগে থাকে, তাহলে সাবধান হোন। এছাড়াও সকালে ঘুম ভেঙে উঠে যদি নাক দিয়ে রক্ত পড়ে, হার্টের অনিয়মিত গতি, চোখের দৃষ্টির পরিবর্তন হতে থাকলে সাবধান হোন। এছাড়াও ঘুম ভেঙেই যদি কানে কোনও শব্দ শুনতে থাকেন, তাহলে বুঝতে হবে আপনি হাইপারটেশনে ভুগছেন।
4/6 হাইপার টেনশনের লক্ষণগুলি এখানেই শেষ নয়, এরফলে দুর্বল লাগতে পারে। এতে বমিবমি-ভাব, মাথা ঘোরা,দুর্বলতা, অ্যাংজাইটি, বিভ্রান্তি, বুকে ব্যথার মতো সমস্যা হতে পারে। এছাড়াও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে পেশিতেও ব্যথা হতে পারে।
5/6 কী থেকে হাইপারটেনশন আরও বেড়ে যায়? খাবারে যদি খুব বেশি নুন খান, তাহলে হাইপারটেনশন হতে পারে। এছাড়াও শাক-সবজি, ফল, মূল যদি ডায়েটে না থাকে, তাহলে হতে পারে হাইপারটেনশন। প্রচণ্ড পরিমাণে মদ্যপান করা বা কফি খাওয়ার অভ্যাসও এক্ষেত্রে প্রভাব ফেলতে পারে। এছাড়াও রাতে খুব একটা ঘুম না হলে বা ঘুমের মধ্যে বিরক্ত হতে থাকলে এমন ঘটনা ঘটে যেতে পারে। হাইপার টেনশন হওয়ার আরও একটি কারণ বেশি ওঠা-হাঁটা না করা বা ব্য়ায়াম না করা।
6/6 হাইপারটেনশন কমাতে চিকিৎসকরা ধূমপান ছাড়তে বলছেন। এছাড়াও ব্যায়াম করা প্রয়োজন। দিনে অন্তত ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুম খুবই প্রয়োজনীয়। কম ফ্যাট, কম সোডিয়াম ও কম কোলেস্টেরল যুক্ত খাওয়া প্রয়োজন। মাছ, মাংসের সঙ্গে ডায়েটে প্রয়োজন ফল, শাক, সবজি। হাইপারটেনশনের লক্ষণ থাকলে, খাবার পাতে একেবারেই কাঁচা নুন নিয়ে বসবেন না! বলছেন চিকিৎসকরা।