ভারতীয় ওপেনার কেএল রাহুলের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স একেবারেই সন্তোষজনক নয়। বিশেষ করে চোটের সারিয়ে দলে ফেরার পর থেকেই তিনি নিজের চেনা ছন্দে নেই। তাঁকে নিয়ে রীতিমতো সমালোচনার ঝড় বয়ে যাচ্ছে।
এমন কী রাহুল জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে প্রথম দুই ম্যাচে অধিনায়ক হিসেবে মাত্র ৩০ রান করেন। এর পর ২০২২ সালের এশিয়া কাপে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে গোল্ডেন ডাকের শিকার হন তিনি। হংকংয়ের বিপক্ষে আবার ৩৬ করেন। সুপার ফোরের ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে ২৮ এবং আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ৬২ রান করেন। আর সব মিলিয়ে তাঁর স্ট্রাইক রেট ছিল মাত্র ১২২.২২।
এ দিকে বর্তমানে পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজমকে নিয়েও বয়ে চলেছে সমালোচনার আর ধিক্কারের ঝড়। প্রথমে এশিয়া কাপের পারফরম্যান্স, আর তার পর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য খারাপ দল গঠন নিয়ে রীতিমতো সরব হয়েছে পাকিস্তানের ক্রিকেট প্রেমীরা। বাবরের খারাপ পারফরম্যান্সের পাশাপাশি খারাপ স্ট্রাইকরেট নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন! তবে দুই প্রতিদ্বন্ধী দেশের দুই তারকাই কিন্তু নিজেদের সমালোচনার জবাবে কিন্তু ওভার বাউন্ডারি হাঁকিয়েছেন।
আরও পড়ুন: কেএল রাহুল নন, রাহুল গান্ধী ওপেন করবেন রোহিতের সঙ্গে-ভুল বলে হাসির খোরাক সঞ্চালক
রাহুল উবাচ
মোহালিতে সংবাদিক সম্মেলনে কেএল রাহুল বলেছেন, ‘অনক কিছু নিয়েই সমালোচনা হয়ে চলেছে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, আপনার সতীর্থরা কী ভাবছেন। টিম ম্যানেজমেন্টের তরফে একটি নির্ধারিত ভূমিকা আপনাকে দেওয়া হয়ে থাকে। সবাই তাদের সেরাটা দেয়। কেউ ইচ্ছাকৃত ভুল করে না। আমরা অন্যদের চেয়ে নিজেদের বেশি সমালোচনা করি।’
তিনি আরও যোগ করেন, রাহুল আরও যোগ করেছেন, ‘কেউ নিখুঁত নয়। ড্রেসিংরুমে কেউই নিখুঁত নয়। প্রত্যেকেই নিজেদের উন্নতির জন্য কাজ করছে। প্রত্যেকেরই একটি নির্দিষ্ট ভূমিকা আছে। স্পষ্টতই, স্ট্রাইক রেট সামগ্রিক ভিত্তিতে নেওয়া হয়। আপনি কখনও-ই দেখতে পাবেন না যে, সেই ব্যাটসম্যান কখন খেলেছেন। দেখতে হবে ২০০-স্ট্রাইক রেটে খেলাটা গুরুত্বপূর্ণ, নাকি ১০০-১২০ স্ট্রাইক রেট খেললে টিম জিততে পারবে। আসল হল দলের জেতা। কিন্তু দুঃখের বিষয় হল, সেটা কেউ দেখে না। টি-টোয়েন্টিতে সবাই মনে করে, প্রথম বল থেকেই বড় শট খেলতে হবে। সেটা সব সময় সম্ভব নয়।’
আরও পড়ুন: আগে ড্রেসিংরুমে দৈত্য ছিল ধোনি এখন হয়েছে কোহলি- জঘন্য ভাবে আক্রমণ করলেন গম্ভীর
বাবরের দাবি
সম্প্রতি আকিব জাভেদ ওপেনার হিসেবে বাবর আজমের ব্যাটিং পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। জাভেদ পিএসএলে লাহোর কালান্দার্সের কোচ। তিনি বলেছিলেন, ‘যখন আমরা করাচি কিংসের বিরুদ্ধে খেলি এবং আমাদের মোট ১৮০ বা তার বেশি রান থাকে, আমরা কখনও-ই বাবর আজমকে আউট করার চেষ্টা করি না। কারণ ও ওর নিজস্ব গতিতে খেলে যা প্রয়োজনীয় রান রেট বাড়ায়।’ এর জবাবে বাবর বলেছেন, ‘তিনি নিশ্চয়ই ভেবেছিলেন যে, আমার আউট হওয়া উচিত নয়, এটা ভালো ব্যাপার। দেখুন, প্রত্যেকেরই নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি আছে, আমরা এখন পাকিস্তান নিয়ে যত বেশি কথা বলি ততই ভালো। মানুষের নিজস্ব মতামত আছে এবং তারা যা বলছে তা আমরা শুনি না।’
এর সঙ্গেই তিনি যোগ করেছেন, ‘প্রাক্তন প্লেয়াররা অবশ্যই তাঁদের মত প্রকাশ করতে পারেন। কিন্তু ব্যক্তিগত আক্রমণটা কষ্ট দেয়। প্রাক্তন প্লেয়াররা জানেন না, আমাদের উপর কতটা চাপ ও দায়িত্ব থাকে। আমি যদিও এই ধরনের মন্তব্যকে পাত্তা দিই না। আমার মধ্যে কোনও প্রভাব পড়ে না, এটা নিয়ে। আমার কাছে এই সিরিজটা গুরুত্বপূর্ণ। এবং আমি চেষ্টা করছি নিজের ফর্ম ফেরানোর। খারাপ সময় থেকে বের হওয়ার জন্য ভালো রাস্তা হল বেশি না ভাবা। জিনিসগুলোকে সহজ করে ভাবি আমি। নিজের উপর ভরসা রাখছি। আমি জানি আমি অতীতে ভালো করেছি এবং ভবিষ্যতেও ভালো করব।’
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।