শুভব্রত মুখার্জি: ব্যাট হাতে ঝড় তুললেন উইল জ্যাকস। তার ব্যাটিং ঝড়ে কার্যত উড়ে গেল সিলেট সানরাইজার্স। জ্যাকসের এই ইনিংসে ভর করেই চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সও নিশ্চিত করল প্লে অফের টিকিট। কয়েকদিন আগেও গ্রুপ পর্যায় থেকে বিদায়ের দোড়গোড়ায় দাড়িয়ে থাকা একটি দল দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে জায়গা করে নিল প্লে অফে। চট্টগ্রামের ব্যাটিং নায়ক জ্যাকস উপহার দিলেন ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস।
জিতলে প্লে অফ, হারলে কার্যত বিদায় এই সমীকরণ মাথায় নিয়ে খেলতে নেমে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স সামনে জয়ের জন্য ছিল বড় লক্ষ্য। তারা ৪ উইকেটে খুইয়ে ম্যাচ জিতে যায় জ্যাকসের দুর্দান্ত ইনিংসে। মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে সিলেটের ১৮৫ রান চট্টগ্রাম পেরিয়ে যায় ম্যাচে ৫ বল বাকি থাকতে। উল্লেখ্য চলতি বিপিএলে সবচেয়ে বেশি রান তাড়া করে জয়ের কীর্তি এটিই।
এদিন চট্টগ্রামের হয়ে ইনিংস শুরু করতে নেমে জ্যাকস ৫৭ বলে ৯১ রানের এক বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন। যা বিপিএলের সব আসর মিলিয়ে সেরা ইনিংসগুলির অন্যতম। ফলে ১০ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে চট্টগ্রাম তৃতীয় দল হিসেবে প্লে অফ নিশ্চিত করল। চট্টগ্রামের এই জয়ের পরে প্লে অফে যেতে মিনিস্টার ঢাকাকে এখন তাকিয়ে থাকতে হবে প্রাথমিক পর্বের শেষ ম্যাচে। সেই ম্যাচে জিতে গেলে খুলনা টাইগার্স উঠবে প্লে অফে। খুলনা হারলে প্লে অফে যাবে ঢাকা। সিলেটের বিদায় আগেই নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল।
সিলেট ৫ ব্যাটারের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় তারা পায় বড় স্কোর তুলতে সমর্থ হয়। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা দলকে শুরুতে দ্রুত রান এনে দেন কলিন ইনগ্রাম। ২টি ছক্কা হাকিয়ে ১৯ বলে ২৪ করে বোল্ড হন মেহেদী হাসান মিরাজের বলে। সিলেটের ইনিংসকে এরপর টানেন এনামুল হক ও লেন্ডল সিমন্স জুটি। দুজনের ব্যাটিংয়ে ১২ ওভারে ১০০ রান তুলে ফেলে সিলেট। ২৭ বলে ৪২ করে সিমন্স এবং ২৬ বলে ৩২ রান করে এনামুল আউট হন। এরপর মোসাদ্দেকের সঙ্গে জুটি গড়েন রবি বোপারা। দুজনের বিধ্বংসী জুটিতে আসে ৪১ বলে ওঠে ৮০ রান। চার ছক্কা হাঁকিয়ে ২১ বলে ৪৪ করে বোপারা আউট হন। মোসাদ্দেক অপরাজিত থেকে ২২ বলে করেন ৩৫ রান। শেষ ৪ ওভারে সিলেট তোলে ৬১ রান।
রান তাড়া করতে নেমে চট্টগ্রামকে ব্যাট হাতে নেতৃত্ব দেন জ্যাকস। দারুণ সব শটের যেন প্রদর্শনী করছিলেন তিনি। তৃতীয় উইকেটে তার সঙ্গে ৪১ বলে ৬৯ রানের জুটি গড়েন চ্যাডউইক ওয়ালটন। ওয়ালটন ২৩ বলে ৩৫ রান করে আউট হন। শেষ দিকে শামীম হোসেন ৩ টি চার ও ১ ছক্কায় ৭ বলে ২১ রানের ক্যামিও খেলে জ্যাকসকে দুরন্ত সহায়তা করেন। ৯১ রান করে দলের প্লে অফে যাওয়া নিশ্চিত করেন জ্যাকস।
∆ সিলেট সানরাইজার্স:
১৮৫/৬
(বোপারা ৪৪, মৃত্যুঞ্জয় ৩৭/৩)
∆ চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স:
১৮৮/৬
(জ্যাকস ৯১*, সোহাগ ২১/২)
চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ৪ উইকেটে জয়ী
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।