বল করার আগেই বারবার ক্রিজের বাইরে বেরিয়ে যাচ্ছিলেন চার্লি ডিন। একাধিকবার সতর্কও করা হয়েছিল। তাতেও কোনও কাজ না হওয়ায় মানকাডিং করেছেন। স্পষ্টভাষায় জানিয়ে দিলেন ভারতের তারকা অল-রাউন্ডার দীপ্তি শর্মা।
সোমবার সকালে কলকাতা বিমানবন্দরে অবতরণের পর যথারীতি মানকাডিং নিয়ে দীপ্তিকে একাধিক প্রশ্ন করা হয়। চূড়ান্ত আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বাংলার মেয়ে বলেন, ‘কিছু না। আমাদের ওটা পরিকল্পনা ছিল। ও বারবার (ক্রিজের বাইরে বেরিয়ে যাচ্ছিল)। আমরা ওকে সতর্কও করেছিলাম। যা নিয়ম ও আইন আছে, সেভাবেই আমরা করেছি।’ সঙ্গে তিনি বলেন, ‘আম্পায়ারকেও বলেছিলাম আমরা। কিন্তু তারপরও ক্রিজ থেকে বেরিয়ে এসেছিল। তাই আমাদের কিছু করার ছিল না।’
গত শনিবার ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে তৃতীয় তথা সিরিজের শেষ একদিনের ম্যাচে ইংরেজ চার্লিকে মানকাডিং করেন দীপ্তি। ৪৪ তম ওভারের তৃতীয় বল যখন করতে আসছিলেন দীপ্তি, তখন ক্রিজের বাইরে চলে যান ইংরেজ ব্যাটার। দীপ্তি পিছন ঘুরে নন-স্ট্রাইকার এন্ডের স্টাম্প ভেঙে দেন। আইন অনুযায়ী, চার্লিকে আউট দেন আম্পায়ার। তার ফলে ১৬ রানে তৃতীয় ম্যাচ জিতে ইংল্যান্ডকে চুনকাম করে দেয় ভারত।
কিন্তু সেইসব ছাপিয়ে প্রাক্তন এবং বর্তমান ইংরেজ ক্রিকেটারদের একাংশ আচমকা ক্রিকেটের স্পিরিটের ভক্ত হয়ে পড়েন। দাঁত-নখ বের করে ভারতীয়দের দিকে তেড়ে আসেন। মানকাডিং যে আইনসিদ্ধ বিষয়, সেটা মেনে নিয়েও স্পিরিটের বুলি আওড়াতে থাকেন। যদিও পালটা উত্তরও হজম করতে হয় তাঁদের। ভারতীয় নেটিজেনরা ইংরেজ ক্রিকেটারদের ‘সততার’ একাধিক নজির তুলে ধরেন। সেটা পরিষ্কার ব্যাট লাগার পর ব্রডের মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়া হোক বা বল মাটিতে পরে গিয়েও অ্যামি জোনসের ‘জোচ্চুরি’ হোক - ভারতীয়রা একেবারে প্রমাণ নিয়ে স্পিরিটের অস্ত্র ভোঁতা করে দেন।
তারইমধ্যে রবিবার ইংল্যান্ডের ঘরোয়া ক্রিকেটের ফাইনালে চার্লি মানকাডিংয়ের চেষ্টা করেন। যদিও শেষপর্যন্ত করেননি। তা নিয়ে অনেকে দাবি করেন, এটাই ক্রিকেটের স্পিরিট। দীপ্তি সতর্ক করেননি। কিন্তু চার্লি সতর্ক করে দেন। যদিও সোমবার কলকাতায় ফিরে সেই ফানুসও ফাটিয়ে দিয়েছেন দীপ্তি। পরিষ্কার দীপ্তি জানিয়ে দেন, চার্লিকে সতর্ক করা হয়েছিল। কিন্তু তাতে কর্ণপাত করেননি।
আরও পড়ুন: ফিক্সিং করে জেল খাটা পাক ক্রিকেটারও এবার দীপ্তির মানকাডিং নিয়ে প্রশ্ন তুললেন
ঝুলনকে নিয়ে দীপ্তি
সোমবার দীপ্তির সঙ্গে ঝুলনও কলকাতায় ফেরেন। ঝুলনের শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচের প্রসঙ্গে দীপ্তি বলেন, ‘দেখুন প্রতিটি দল জিততে চায়। শেষ ম্যাচটা জিতে তাকে ঠিকভাবে বিদায় জানাতে চাইছিলাম। দল হিসেবে আমরা যেটা করতে পারতাম, সেটা করার জন্য প্রাণপণ চেষ্টা করেছি।’