ব্রিসবেনের গাব্বাতে অ্যাশেজের প্রথম টেস্টে ইংল্যান্ডকে ১৪৭ রানে অল-আউট করে দেয় অস্ট্রেলিয়া। বিশ্বের এক নম্বর বোলার প্যাট কামিন্স একাই ৫ উইকেট তুলে নেন। অধিনায়ক হিসেবে একেবারে স্বপ্নের অভিষেক হয় কামিন্সের। ৩৮ রান দিয়ে পাঁচ উইকেট তুলে নিয়ে তিনি তাঁর ক্যারিয়ারে পঞ্চম সেরা পারফরম্যান্সে করে ফেললেন। সেই সঙ্গে ইংল্যান্ড ১৪৭ রানে আউট হয়ে লজ্জার নজির গড়ল। ইংল্যান্ডের ১৪৭ রানের হাত ধরে ২৪ বছর পর অ্যাসেজে সবচেয়ে কম রানের ইনিংস হল।
১৯৯৭ সালে এজবাস্টনে ১১৮ রান করেছিল অস্ট্রেলিয়া। এটা অ্যাসেজের প্রথম ইনিংসে সবচেয়ে কম রানের স্কোর। এর ২৪ বছর পর ইংল্যান্ড ১৪৭ রান করল। এত কম স্কোর এই ২৪ বছরে অ্যাসেজ সিরিজে হয়নি।
ব্রিটিশ অধিনায়ক জো রুট টসে জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু শুরু থেকেই অজিদের আগুনে বোলিংয়ের সামনে মুখ থুবড়ে পড়ে ইংল্যান্ড। কথায় আছে, ‘মর্নিং শোজ দ্য ডে’। ইংল্যান্ডের ক্ষেত্রেও ব্যাপারটা অনেকটা এ রকমই ছিল। ম্যাচের একেবারে প্রথম বলে মিচেল স্টার্কের লেগ স্ট্যাম্পের বল সম্পূর্ণ মিস করে রোারি বার্নস আউট হন। অজি পেস ত্রয়ীর দাপটে মধ্যাহ্নভোজের আগেই ৫৯ রানে চার উইকেট হারিয়ে ফেলে ইংল্যান্ড। অধিনায়ক রুট ফেরেন শূন্য রানে, প্রত্যাবর্তন ম্যাচে স্টোকসকেও ফিরতে হয় পাঁচ রান করে।
এক দিকে ওপেনার হাসিব হামিদ (২৫) কিছুটা লড়াই করলেও দ্বিতীয় সেশনের প্রথম বলেই তাঁকে সাজঘরে পাঠান কামিন্স। এর পর ব্যাট করতে নামেন জস বাটলার। প্রতি আক্রমণের পথ বেছে নেন তিনি। অলি পোপের সঙ্গে ষষ্ঠ উইকেটে ৫২ রানের পার্টনারশিপও করেন। তবে ঠিক যখন মনে হচ্ছিল, বাটলারেরে আগ্রাসী মনোভাব ইংল্যান্ডকে নিরাপদ স্কোরের দিকে নিয়ে যাচ্ছে, তখনই তাঁকে ফেরান স্টার্ক। ৩৯ রানে আউট হন বাটলার।
এর পর গোটাটাই কামিন্স ‘কার্নেজ’। সেট পোপ (৩৫) সমেত ইংল্যান্ডের বাকি চার উইকেটই যায় নতুন অজি অধিনায়কের ঝুলিতে। ক্রিস ওকস (২১) কিছুটা লড়াই চালালেও ১৪৭ রানে শেষ হয় ইংল্যান্ড ইনিংস। কামিন্স সর্বাধিক পাঁচ উইকেট নেন এবং জোস হ্যাজেলউড ও স্টার্ক দু'টি করে উইকেট নেওয়ার পাশপাশি তরুণ ক্যামরন গ্রিনও নিজের প্রথম টেস্ট উইকেট পান।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।