ক'দিন আগেই মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামকে করোনা কোয়ারান্টাইন সেন্টার হিসেবে ব্যবহার করার কথা জানানো হয়েছিল বিএমসির তরফ থেকে। এবার লকডাউনের মাঝে দিল্লির ফিরোজ শাহ কোটলা (বর্তমানে অরুণ জেটলি) স্টেডিয়াম ব্যবহার করা হচ্ছে পরিযায়ী শ্রমিকদের মেডিক্যাল টেস্ট সেন্টার হিসেবে।
আসলে কোটলা স্টেডিয়ামকে পরিযায়ী শ্রমিকদের অস্থায়ী বাসস্থান তথা স্বাস্থ্য পরীক্ষা শিবির হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। গত তিনদিন ধরে উত্তরপ্রদেশ, বিহার ও মধ্যপ্রদেশের পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে আসা হচ্ছে কোটলা স্টেডিয়ামে। সেখানে পরীক্ষা করার পর তাঁদের বাসে করে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে স্টেশনে। যেখান থেকে তাঁরা ট্রেন ধরে ফিরে যাচ্ছেন নিজ নিজ রাজ্যে।
মঙ্গলবার প্রথম দফার শিবিরের শ্রমিকদের নিয়ে শেষ বাস কোটলা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর স্টেডিয়াম জীবাণুমুক্ত করা হয়। ভবিষ্যতে এই কাজের জন্য পুনরায় স্টেডিয়াম ব্যবহার করা হতে পারে বলে দিল্লি অ্যান্ড ডিস্ট্রিক্ট ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনকে জানানো হয়েছে সরকারি তরফে।
এ-প্রসঙ্গে ডিডিসিএ'র যুগ্ম-সচিব রাজন মানচন্দ বলেন, 'মাত্র ১৫ মিনিটের নোটিশে আমাদের তৈরি থাকতে বলে দিল্লি সরকার ও বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তর। ওরাই সমস্ত সরঞ্জাম সঙ্গে নিয়ে আসে। সেন্টারের ব্যবস্থাপনার জন্য আমাদের সমস্ত কর্মীদের কাজে লাগানো হয়। প্রথম দিন সকালে ১০টি বাসে করে ৫০০ জন শ্রমিককে নিয়ে আসা হয় স্টেডিয়ামে। সন্ধ্যায় আসে আরও ৫০০ জন। সব মিলিয়ে প্রায় ২৫০০ শ্রমিককে নিয়ে আসা হয়েছিল। ডাক্তারি পরীক্ষার পর তাঁদের পৌঁছে দেওয়া হয় গন্তব্যে।'
ডিডিসিএ'র তরফে শুরুতেই সরকারকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল প্রয়োজনে কোটলাকে করোনা কোয়ারান্টাইন সেন্টার হিসেবে ব্যবহার করার। এছাড়া সংস্থার তরফে সরকারি তহবিলে অনুদানও দেওয়া হয়েছে। দিল্লি ক্রিকেট সংস্থা অবশ্য ড্রেসিংরুম ও মাঠকে পরিযায়ী শ্রমিকদের থেকে দূরে সরিয়ে রাখে। স্টেডিয়ামের নিচের জায়গা ছাড়াও নেট সেশনের জায়গা ব্যবহার করতে দেওয়া হয় সরকারি আধিকারিকদের।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।