Arijit Singh in Durand Derby: শনিবার ডার্বিতে যুবভারতীতে আসতে পারেন অরিজিৎ সিং, কাকে সমর্থন করবেন?

ডার্বির দামামার মাঝে দর্শকদের জন্য সবচেয়ে বড় খবর হল, শনিবার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে ইস্টবেঙ্গলের হয়ে গলা ফাটাতে দেখা যেতে পারে বর্তমান সময় ভারতের সবচেয়ে জনপ্রিয় গায়ক অরিজিৎ সিংকে। একাধিক মহলে তেমনই দাবি করা হল।

অরিজিৎ সিং (Instagram)

শনিবার মরশুমের প্রথম কলকাতা ডার্বি। ডুরান্ড কাপের গ্রুপ পর্যায়ের ম্যাচে মুখোমুখি মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট এবং ইস্টবেঙ্গল। সেইমতো নিজেদের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে দু'দলই। শানিয়ে নিচ্ছে নিজেদের রণনীতি। ডার্বির দামামার মাঝে দর্শকদের জন্য সবচেয়ে বড় খবর হল, শনিবার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে থাকতে পারেন বর্তমান সময় ভারতের সবচেয়ে জনপ্রিয় গায়ক অরিজিৎ সিং। সংবাদমাধ্যম এক্সট্রা টাইমের প্রতিবেদনে তেমনই জানানো হয়েছে।

ডুরান্ড কমিটির এক সদস্য (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) হিন্দুস্তান টাইমস বাংলাকে জানান, ‘অরিজিৎ আসছেন কিনা, সেই সম্বন্ধে আমাদের কোনও ধারণা নেই। কিন্তু কাল নিশ্চিতভাবে মাঠে একজন নামজাদা সেলিব্রিটি উপস্থিত থাকবেন।’

ফুটবল জগতের সঙ্গে অরিজিতের পরিচিত আজকের নয়। এর আগে মোহনবাগানের হয়ে ‘ফাটাফাটি ফুটবল’ গানটি গেয়ে দর্শকদের মন জয় করেছেন তিনি। ইস্টবেঙ্গলের হয়ে ‘১০০ বছরের’ গানটিও তাঁর গলায়। এই বছরের ডুরান্ড কাপের থিম সং ‘ভিড়ে’ গানটিরও মূল গায়ক তিনিই। তাঁকে সংগত দিয়েছেন বিখ্যাত র‍্যাপার ডিভাইন।

শুধু গান নয় ফুটবলের দুনিয়া নিয়ে যথেষ্ট সচেতেন ‘বোঝে না সে বোঝে না’-র গায়ক। বহুবার ফুটবল চর্চা করতে গিয়ে ক্যামেরা বন্দি হয়েছেন তিনি। বাংলার দুঃস্থ ফুটবলারদের দিকে বারবার সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন তিনি।

এখন শুধুমাত্র কয়েক ঘণ্টার অপেক্ষা। তারপরই হয়ত যুবভারতীর মাঠে লাল-হলুদ জার্সি গায়ে গলা ফাটাতে দেখতেই পারেন ৩৬ বছরের গায়ককে। শুক্রবার ডার্বির আগে সাংবাদিকদের মুখোমুখি নিজেদের দলের প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা করেন দুই দলের কোচ। তাঁরা জানান, প্রস্তুতিও শুরু করে দিয়েছেন তাঁরা।

লাল-হলুদ কোচ কার্লেস কুয়াদ্রত জানান, শনিবার তাঁরা তিন পয়েন্টের জন্যই ঝাঁপাবেন। উল্লেখ্য, শেষ ম্যাচে মূলত দুর্বল রক্ষণের জন্যই দুই গোলে এগিয়ে থেকেও জিততে পারেনি ইস্টবেঙ্গল। তার উপর লাল কার্ডের জন্য শনিবার নিশু কুমারকে পাবেন না কার্লোস। ডানদিকে তাই মহম্মদ রাকিপকে খেলাতে পারেন তিনি।

অন্যদিকে টানা আটটি ডার্বিতে জিতে আত্মবিশ্বাসী মোহনবাগান। গত মরশুমের চেয়ে এইবার দল আরও শক্তিশালী করেছে সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। স্ট্রাইকার, মিডফিল্ডার এবং ডিফেন্ডার তিনটি বিভাগেই নতুন মুখ। এই দল নিয়ে এএফসি কাপ জিততে বদ্ধপরিকর কোচ জুয়ান ফেরান্দো।