প্রথমার্ধে একেবারে শেষলগ্নে দিমিত্রি পেত্রাতোস পেনাল্টি থেকে গোল করেন। কিন্তু তাঁর গোল বাতিল হয়ে যায়। পরবর্তীতে নতুন করে পেনাল্টি নেন পেত্রাতোস। যা বারপোস্টে ধাক্কা খেয়ে বাইরে বেরিয়ে যায়। গোল হয়নি। কিন্তু কেন পেত্রাতোসের পেনাল্টি বাতিল করে দেওয়া হল? রেফারি কি ভুল করেছেন?
1/5 একেবারে নাটকীয়ভাবে কলিঙ্গ সুপার কাপের প্রথমার্ধের শেষ হল। প্রথমে পেনাল্টি হল। পেনাল্টি থেকে গোল করল মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। কিন্তু সেই গোল বাতিল হয়ে গেল। নতুন করে পেনাল্টি নিতে হল মোহনবাগানকে। যা বারপোস্ট কাঁপিয়ে দিলেও ইস্টবেঙ্গলের জালে জড়িয়ে গেল না। কিন্তু কেন প্রথম পেনাল্টি বাতিল করে দেওয়া হল? (ছবি সৌজন্যে জিয়ো সিনেমা ও ফেসবুক Mohun Bagan Super Giants ফাইল)
2/5 কারণ প্রথমবার যখন পেনাল্টি নিচ্ছিলেন মোহনবাগানের তারকা দিমিত্রি পেত্রাতোস, তখন তিনি শটটা মারার আগেই বক্সের মধ্যে ঢুকে পড়েন দুই মোহনবাগানের খেলোয়াড় - হুগো বৌমাস এবং রাজ বাসফোর। তাই পেত্রাতোসের বলটা ইস্টবেঙ্গলের জালে জড়িয়ে গেলেও গোল দেননি রেফারি। বরং ফের পেত্রাতোসকে পেনাল্টি নেওয়ার নির্দেশ দেন। যে পেনাল্টি থেকে গোল করতে পারেননি অস্ট্রেলিয়ার তারকা। (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্যে ফেসবুক Mohun Bagan Super Giant)
3/5 বিশেষজ্ঞদের মতে, পেত্রাতোসের শটটা যেহেতু জালে জড়িয়ে গিয়েছিল এবং বৌমাস বা রাজের কোনও ভূমিকা ছিল না, তাই রেফারি চাইলে গোলটা দিতে পারতেন। কিন্তু রেফারি যেটা করেছেন, সেটা একেবারে রুলবুক মেনেই করেছেন। ফলে তিনি যে কোনওরকম ভুল করেছেন, সেটা বলা যায় না। নিয়মের মধ্যে থেকেই তিনি নিজের কাজ করেছেন। (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্যে ফেসবুক Mohun Bagan Super Giant)
4/5 প্রথম পেনাল্টির গোল বাতিল হয়ে যাওয়ার পরে দ্বিতীয়বার ফের পেনাল্টি নেন পেত্রাতোস। প্রথমবার যেদিকে শট মেরেছিলেন, সেদিকেই টার্গেট করেন। একেবারে টপ-কর্নারে নিশানা করেন পেত্রাতোস। কিন্তু সেটা গোলে ঢোকেনি। বারপোস্টে আছড়ে পড়ে। বারপোস্ট কেঁপে উঠলেও কাজের কাজটা হয়নি। যা ম্যাচের অন্যতম টার্নিং পয়েন্ট বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্যে East Bengal)
5/5 কিন্তু হুগোর মতো অভিজ্ঞ খেলোয়াড় কীভাবে এরকম ভুল করলেন? বিশেষজ্ঞদের মতে, ডার্বির চাপটা নেহাত কম নয়। যা অভিজ্ঞ খেলোয়াড়দেরও স্নায়ুর পরীক্ষায় ফেলে দেয়। আর সম্ভবত সেটার কারণেই হুগোর মতো খেলোয়াড় সেই ভুল করেছেন। রানার ক্ষেত্রে ভুলটা একেবারেই অস্বাভাবিক নয়। কারণ তিনি একেবারেই অনভিজ্ঞ। তবে যাই হোক, সেটার ফলে ক্ষতি হয়েছে মোহনবাগানের। (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্যে East Bengal)