মালেতে মোহনবাগান এএফসি কাপের যে ম্যাচটি খেলল, সেটার ছিটেফোঁটাও কোনও গুরুত্ব ছিল না। জুয়ান ফেরান্দো দলের সঙ্গে মলদ্বীপ যাননি। তাঁর পরিবর্তে দলকে কোচিং করান ক্লিফোর্ড মিরান্ডা। নেহাৎ-ই নিয়মরক্ষার একটা ম্যাচ ছিল। সেই কারণে মোহনবাগান টিম ম্যানেজমেন্ট এই ম্যাচ খেলতে পাঠায় একঝাঁক তরুণ ফুটবলারদের। বিদেশিরাও নেই দলে। এ রকম একটি ম্যাচে হার মানল সবুজ-মেরুন। তবে এই ম্যাচ হেরেও তৃতীয় স্থানে শেষ করল বাগান। ৬ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ৭। আর মাজিয়া জিতেও গ্রুপের লাস্টবয় হয়েই থাকল। ৬ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ৬।
হারল মোহনবাগান
এএফসি কাপে হারের হ্যাটট্রিক করে বসল মোহনবাগান। বসুন্ধরা কিংস, ওড়িশা এফসি-র পর মাজিয়ার কাছেও হারল সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। এদিন হতশ্রী ফুটবল খেলে ০-১ হারল মোহনবাগান।
৫মিনিট অতিরিক্ত সময়
নির্দিষ্ট ৯০ মিনিটের খেলা শেষ। ৫ মিনিট অতিরিক্ত সময় দেওয়া হয়েছে। পারবে কি বাগান গোলশোধ করতে?
গোলের দেখা নেই
৮৫ মিনিট হয়ে গেল। বাগানের গোলের দেখা নেই। আর কি তারা গোলশোধ করতে পারবে? সেভাবে আক্রমণেই ওঠেনি মোহনবাগান। গোল হওয়ার তাই কোনও সম্ভাবনাও নেই।
বাগান এখন ০-১ পিছিয়ে
৭৫ মিনিট অতিবাহিত হয়ে গেল। বাগানের গোল করার কোনও লক্ষণ নেই। ৭৩ মিনিটে অবশ্য বক্সের বাইরে থেকে পরিবর্তে নামা বাগানের ফারদিন আলি মোল্লা একটি শট নিয়েছিলেন। তবে সেটা কার্যকরী ছিল না। মোদ্দা কথা, বাগান এখন ০-১ গোলে পিছিয়ে।
আরও একটি সুযোগ নষ্ট মাজিয়ার
৬৭ মিনিট- রাইফ আবার গোল করার বড় সুযোগ হাতছাড়া করলেন। বারবার বাগানের রক্ষণকে চাপে ফেলছে মাজিয়া। যে কোনও সময়ে ২-০ হয়ে যেতেই পারে।
বড় মিস মাজিয়ার
৬৬ মিনিট- বালাবানোভিচ পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে একটি সিটার মিস করেন। বাঁ-দিকের ফ্ল্যাঙ্ক থেকে একটি দুর্দান্ত ক্রস থেকে শট নিতে ব্যর্থ হন বালাবানোভিচ।
বাগানের প্রথম শট লক্ষ্যে
৬১ মিনিট- এই ম্যাচে মোহনবাগানের প্রথম শটটি লক্ষ্যে রাখা হয়। যদিও মাজিয়ার গোলরক্ষক হোসেন শরিফ সেটি সেভ করেন।
সুমিতের দুরন্ত ট্যাকেল
৫৭ মিনিট- বক্সের ভিতরে সুমিত রাঠির একটি দুর্দান্ত স্লাইড ট্যাকেল। মাজিয়ার ব্যবধান বাড়াতে পারল না। সুমিত না থাকলে নিশ্চিত ভাবে ২-০ করে ফেলতে পারত মাজিয়া।
বাগানের সংগঠিত ফুটবল
৫১ মিনিট- তরুণ মোহনবাগান দলকে দ্বিতীয়ার্ধে অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী লাগছে এবং তারা চাপ দিতে শুরু করেছে। ভালো পাস বাড়াচ্ছে। প্রথমার্ধের তুলনায় কিছুটা সংগঠিত লাগছে তাদের।
দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু
দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু। বিরতির আগে মাজিয়া ১-০ এগিয়ে ছিল। মোহনবাগান কি পারবে দ্বিতীয়ার্ধে ঘুরে দাঁড়াতে?
বিরতিতে ১-০ এগিয়ে মাজিয়া
তরুণ মোহনবাগান দল নজরই কাড়তে পারেনি। প্রথমার্ধে একেবারেই বর্ণহীন ছিল সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। মাজিয়া বরং এক গোলের লিড পেয়েছে।
এক মিনিট ইনজুরি টাইম
প্রথমার্ধে নির্দিষ্ট ৪৫ মিনিটের খেলা শেষ। এখনও পর্যন্ত ১-০ এগিয়ে রয়েছে মাজিয়া। এক মিনিট ইনজুরি টাইম দেওয়া হয়েছে।
গোওওওওললল.. ১-০ করল মাজিয়া
৩৯ মিনিট- মোহনবাগান একেবারে রক্ষণাত্মকই খেলছিল। সেভাবে তারা আক্রমণেই ওঠেনি। সেই সুযোগ পেয়ে মাজিয়া আক্রমণে ওঠার চেষ্টা করে চলেছিল। এবং ৩৯ মিনিটে সুফলও পায় তারা। বক্সের বাইরে থেকে দুরন্ত শটে হাসান রাইফ আহমেদের দুর্দান্ত গোলে ১-০ করে মাজিয়া।
বাগানের রক্ষণ সজাগ
৩৫ মিনিট- মাজিয়ার আক্রমণের সামনে মোহনবাগানের রক্ষণ কিন্তু বেশ শক্তিশালী। যদিও তারা সে ভাবে আক্রমণ শানাতে পারছে না। তবে ডিফেন্ডাররা নিজেদের দায়িত্ব কিন্তু ভালো ভাবে পালন করে চলেছে।
গোলের দেখা নেই
ম্যাচের ত্রিশ মিনিট হয়ে গেল। গোল করে উঠতে পারেনি কোনও পক্ষই। মোহনবাগান তো রীতিমতো ম্যাড়ম্যাড় করছে। মাজিয়া কিছু আক্রমণে উঠলেও, সেভাবে গোলের সুযোগ তারা তৈরি করতে পারেনি।
বল পেল বাগান
২৫ মিনিট- অবশেষে মোহনবাগান ভালো জায়গায় একটি বল পেয়েছে। তবে ৩৫ গজ দূর থেকে রানার শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।
চাপে রেখেছে মাজিয়া
২২ মিনিট- ম্যাচের প্রথম ২০ মিনিটে মজিয়া বেশ চাপ বাড়িয়েছিল। এখনও তাদের আধিপত্যই বেশি। এদিকে তরুণ দল নিয়ে খেলা মোহনবাগান এখনও ম্যাচে নিজেদের মেলে ধরতে পারেনি।
মাজিয়ার ফ্র-কিক
১৭ মিনিট- মাজিয়া বিপজ্জনক জায়গায় ফ্রি কিক পান। তবে সরাসরি শট চলে যায় আর্শ আনোয়ার শেখের হাতে।
বাগানের তরুণরা খাপ খুলতে পারছেন না
মোহনবাগানের তরুণ দলটি ম্যাচে বড়ই ম্যাড়ম্যাড়ে। দীপক ট্যাংরি তাঁর অভিজ্ঞতা কাজে লাগানোর চেষ্টা করছেন। কিন্তু মাজিয়ার মিডফিল্ড বেশ শক্তিশালী। এবং তারা খেলার নিয়ন্ত্রণ রাখার চেষ্টা করছেন।
শুরুটা বর্ণহীন
৫ মিনিট- ম্যাচের বয়স সবে ৫ মিনিট। সেই ভাবে নজর কাড়া কিছু এখনও ঘটেনি। দুই দল যে মারাত্মক আক্রমণাত্ম এমনটা নয়, এখনও পর্যন্ত বর্ণহীন ম্যাচ।
খেলা শুরু
খেলা শুরু হয়ে গেল। নিয়মরক্ষার ম্যাচ দুই দলের কাছে। যে কারণে বাগান তরুণ ফুটবলারদেরই এদিন মূলত খেলাচ্ছে। তরুণদের কাছে নিজেদের প্রমাণ করার বড় সুযোগ থাকছে।
মাজিয়ার একাদশ
এইচ শরিফ, এইচ ইউসুফ, এ সামুহ, বি জোসিচ, খালিল এলবেজিওয়ি, ওবেং রেগান, হোসেন নিহান, আইসাম ইব্রাহিম, আলি ফাসির, হাসান রাইফ আহমেদ, ভি বালাবোনোভিচ।
মোহনবাগানের একাদশ
মিরান্ডা উবাচ
ক্লিফোর্ড মিরান্ডা বলেছেন, ‘মাত্র ১৩ জনকে নিয়ে এখানে এসেছি। দেশে আইএসএল চলছে। তার উপর আমাদের একাধিক ফুটবলারের চোট। এই দলের নব্বই শতাংশ ফুটবলার তরুণ। রিজার্ভ দলের বেশ কিছু ফুটবলার রয়েছে। এই তরুণদের সামনে সুযোগ রয়েছে প্রমাণ করার। এএফসি কাপে ভালো শেষ করা আমাদের লক্ষ্য।’
ফেরান্দো থাকছে না, নেই বাগানের তারকা ফুটবলাররা
হেড কোচ জুয়ান ফেরান্দো দলের সঙ্গে মলদ্বীপ যাননি। কোনও বিদেশিকেও নিয়ে যাওয়া হয়নি। অভিষেক সূর্যবংশী, সুমিত রাঠি-সহ মোট ১৩ জন ফুটবলার মলদ্বীপ উড়ে গিয়েছেন। চোট-আঘাতে জর্জরিত মোহনবাগানের প্রধান একাদশকে মলদ্বীপ পাঠানো হয়নি। জুয়ানের পরিবর্তে কোচ থাকবেন ক্লিফোর্ড মিরান্ডা।
পরীক্ষানিরীক্ষার ম্যাচ বাগানের
মালেতে মোহনবাগান যে ম্যাচটি খেলবে, সেটার ছিটেফোঁটাও কোনও গুরুত্ব নেই। কারণ সবুজ-মেরুন ব্রিগেড শেষ ম্যাচে জিতলেও, তৃতীয় স্থানের উপরে শেষ করতে পারবে না। আর মাজিয়া জিতে গেলেও, তিন নম্বরেই শেষ করবে মোহনবাগান। কারণ মাজিয়ার ধরাছোঁয়ার বাইরে আছে সবুজ-মেরুন। ফলে জুয়ান ফেরান্দোর দলের কাছে ম্যাচটা নেহাৎ-ই এএফসি কাপের ফেয়ারওয়েল ম্যাচ। যে কারণে এক ঝাঁক তরুণ ফুটবলারকে এই ম্যাচে পরখ করে নেওয়ার পালা।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।