দেখতে দেখতে শেষ হয়ে গেল এই মরশুমের সন্তোষ ট্রফি। দীর্ঘদিন ধরে চলা এই টুর্নামেন্ট নিজেদের ঝুলিতে তুলে নিল সার্ভিসেস। এক রোমাঞ্চকর ফাইনালে তারা শক্তিশালী প্রতিপক্ষ গোয়াকে পরাজিত করল ১-০ গোলে। এদিন দুই দলই একে অপরকে আক্রমণ করে প্রথমার্ধে। কিন্তু ম্যাচের মোড় ঘুরে যায় দ্বিতীয়ার্ধে যখন লাগাতার আক্রমণ আসতে শুরু করে সার্ভিসেসের তরফ থেকে। বলা যায় একেবারে তীরে এসে তরী ডোবার মতো ব্যাপার ঘটে গোয়ার সঙ্গে। অন্তিম লগ্নে এসে গোল খায় তারা, যার ফলে একরাশ হতাশা নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় তাদের।
শনিবার, অর্থাৎ ৯ মার্চ, হায়দরাবাদের গোল্ডেন জুবিলী স্টেডিয়ামে ফাইনাল খেলতে মুখোমুখি হয় দুই দল। তবে প্রথমার্ধ একেবারে হাড্ডাহাড্ডি যায়। দুই তরফ থেকেই আসতে শুরু করে লাগাতার আক্রমণ। কিন্তু তা রুখতে সফল হয় দুই দলেরই রক্ষণভাগ। তবে ম্যাচের চাকা ঘুরতে শুরু করে দ্বিতীয়ার্ধ থেকে। পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে তুলে নেয় সার্ভিসেস। তারা করতে শুরু করে একের পর এক আক্রমণ, যা চাপ বাড়ায় গোয়ার রক্ষণভাগের উপর।
কষ্ট করে কোনও রকমে তা ঠেকালেও শেষ পর্যন্ত কোথাও গিয়ে হার মানতে হয় গোয়া বাহিনীকে। সার্ভিসেসের শাফিল পিপি ৬৭ মিনিটের মাথায় গুরুত্বপূর্ণ গোলটি করে দলকে এগিয়ে দেন। এরপর যদিও আপ্রাণ চেষ্টা করবেন গোয়ার ফুটবলাররা কিন্তু কোনরকমেই তারা ভেদ করতে সফল হননি সার্ভিসেসের রক্ষণভাগ। অতিরিক্ত সময়ে একটি সুযোগ এলেও অল্পের জন্য গোল থেকে বঞ্চিত হয় তারা। ম্যাচ শেষে বাঁশি বাজতেই আনন্দে লাফিয়ে ওঠে সার্ভিসেস দলের ফুটবলাররা এবং তাদের সমর্থকরাও গোটা স্টেডিয়াম জুড়ে গলা ফাটাতে থাকেন। সবমিলিয়ে, হাড্ডাহাড্ডি এই ফাইনাল ম্যাচে কঠিন লড়াই করে সপ্তম বারের জন্য ট্রফি নিজেদের নামে করলো সার্ভিসেস।
উল্লেখ্য, সন্তোষ ট্রফির ৭৭তম মরশুম শুরু হয়েছে অক্টোবর মাসের ৮ তারিখে এবং চলে ৯ মার্চ পর্যন্ত। এই টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ গোলদাতা হন মনিপুরের ফিজাম সানাথোই মেইতেই। মোট ১১টি গোল করেন তিনি। সেরা গোলরক্ষক হন সার্ভিসেসের সঈদ বিন আব্দুল কাদের এবং টুর্নামেন্টের সেরা হন সার্ভিসেসেরই সমীর মুর্মু।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।