কেকেআরের হয়ে আইপিএলে রং ছড়ানোর আগে পর্যন্ত বেঙ্কটেশ আইয়ার স্পটলাইটের বাইরে ছিলেন। কলকাতা নাইট রাইডার্সই যে তাঁকে ভারতীয় ক্রিকেটের মূল স্রোতে প্রতিষ্ঠা দেয়, সে বিষয়ে সন্দেহ নেই কোনও। তবে বেঙ্কটেশ আইয়ারকে ক্রিকেটার হয়ে ওঠার জন্য অনুপ্রাণিত করেছেন কে, সেটা জানেন কি? অন্য কেউ নন, তিনি টিম ইন্ডিয়া তথা কলকাতা নাইট রাইডার্সের প্রাক্তন দলনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়।
অতীতেও বহুবার বেঙ্কটেশ জানিয়েছেন যে, তাঁর আদর্শ হলেন সৌরভ। এবার রাজ শামানি ক্লিপসে কথা বলার সময় নাইট তারকা হদিশ দিলেন অজানা এক তথ্যের। ছেলেবেলায় বেঙ্কটেশ ডানহাতে ব্যাট করতেন। সৌরভকে দেখেই তিনি বাঁ-হাতে ব্যাট করা শুরু করেন এবং ক্রিকেটার হিসেবে পরিণত হয়ে ওঠেন।
ঠিক কী কারণে সৌরভের অন্ধ ভক্ত হয়ে ওঠেন বেঙ্কটেশ, নিজেই জানালেন সেই কথা। আইয়ার বলেন, ‘যখন টেনিস খেলা দেখা শুরু করি, চারিদিকে শুধুই রজার ফেডেরার। তাঁকে শেষমেশ হারালেন কে? রাফায়েল নাদাল। ঠিক তেমনই যখন ক্রিকেট খেলা দেখা শুরু করি, ছেয়ে রয়েছেন শুধু সচিন। তাঁকে টক্কর দিলেন কে, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। দুর্দান্ত বাঁ-হাতি ব্যাটসম্যান। অফ-সাইডে ৯ জন ফিল্ডার থাকলেও গ্যাপে বল পাঠাতেন। টিম ইন্ডিয়ার ক্যাপ্টেন। অত্যন্ত আগ্রাসী। বিদেশের মাঠে গিয়ে ম্যাচ জেতা। এই বিষয়গুলিই আমাকে এই মানুষটার অনুরাগী করে তোলে।’
বেঙ্কটেশ আরও বলেন, ‘যখন ছোট ছিলাম, ডানহাতে ব্যাট করতাম। দাদাকে দেখে বাঁ-হাতে ব্যাট করতে শুরু করি। এতটাই অনুরক্ত হয়ে যাই ওনার প্রতি। তখন সচিন আউট হলে সবাই টিভি বন্ধ করে দিত। সচিন আউট হলেও আমি খেলা দেখতাম দাদা কী করছে, কত রান করছে সেটা দেখার জন্য। তাছাড়া ভারতীয় দলের ক্যাপ্টেন ছিলেন উনি। যে দলে আমরা সবাই যেতে চাই, কে না ভারতীয় দলে জায়গা করে নিতে চায়! সেই দলের ক্যাপ্টেনের প্রতি অনুরাগ তো আসবেই। যেভাবে উনি কথা বলতেন, সাক্ষাৎকার দিতেন, সেগুলো দেখেও আমি সৌরভের ফ্যান হয়ে যাই।’
বিদেশের মাঠে জিততে শেখানো ছাড়াও ভারতীয় ক্রিকেটে সৌরভের অবদান নিয়ে বেঙ্কটেশ বলেন, ‘সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ক্যাপ্টেন হওয়ার পরে ভারতীয় ক্রিকেট অনেকটা বদলে যায়। দলের মধ্যে বিদেশে গিয়ে জেতার একটা সংস্কৃতি তৈরি করেন সৌরভ। সেই সময় বিদেশে গিয়ে যদি ম্যাচ ড্র করতাম, সেটাই আমাদের কাছে বড় বিষয় ছিল। সেখানে বিদেশে গিয়ে প্রতিপক্ষকে হারানোর যে কালচার শুরু হয়, সেটা দাদার সময় থেকেই। অস্ট্রেলিয়ার গিয়ে ওদের হারানো, এটা শুরু হয় দাদার জমানাতেই। ভারতীয় দলের জন্য অনেক ভালো কাজ করে গিয়েছেন দাদা। সেহওয়াগকে ওপেনার হিসেবে তুলে আনা, হরভজন সিংকে নির্বাচকদের অপছন্দ সত্ত্বেও দলে নেওয়া। একটা ট্যুরে অনিল কুম্বলেকে নির্বাচকরা পাঠাতে চাননি, সেখানেও দাদা জোর করে কুম্বলে দলে নেন। ধোনির মতো ক্রিকেটারকে জাতীয় দলে নিয়ে আসা, এইসব কাজগুলো করেও দাদা ভারতীয় ক্রিকেটে নিজের অবদান রেখেছেন।’
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।