মনে আছে ২০০১ সালের অস্ট্রেলিয়ার ভারত সফর। মনে আছে সেই সিরিজের ইডেন ম্যাচ। বাইশ গজে অসম্ভবকে সম্ভব করেছিল সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের টিম ইন্ডিয়া। সেই ম্যাচে অস্ট্রেলিয়া প্রথমে ব্যাট করে ৪৪৫ রান তুলেছিল তারপরে ফলো অনে পড়ে গিয়েছিল ভারত। এরপরে লক্ষ্মণের সেই স্মরণীয় ২৮১ রানের ইনিংস সঙ্গে রাহুল দ্রাবিড়ের ১৮০ রান। যারফলে সেই টেস্ট জিতেছিল ভারত। তবে সে তো হয়েছিল ভারতের মাটিতে, কিন্তু সোমবার ওবালে যা হল, সেটাও ইতিহাসের পাতায় তুলে রাখা থাকবে। কারণ এই ম্যাচেও বিরাটরা প্রথমে ১৯১ রানে আউট হয়ে যাওয়ার পরে ইংল্যান্ড ২৯০ রানে তুলে ভারতকে পিছনে ফেলে দিয়েছিল।
এরপরে অনেকেই ভেবেছিল হয়তো সিরিজের এই ম্যাচ হাতছাড়া হতে পারে বিরাটদের। কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে দারুন ভাবে ঘুরে দাঁড়ায় টিম ইন্ডিয়া। রোহিত শর্মার ব্যাট থেকে আসে ১২৭ রান। পূজারা করেন ৬১ রান। শার্দুল ঠাকুরের ৬০ রান ও পন্তের ৫০ রান এবং বিরাট কোহলির ৪৪ রানের উপর ভর করে ভারত তোলে ৪৬৬ রান। জবাবে ইংল্যান্ডকে ২১০ রানেই বেঁধে দেয় টিম ইন্ডিয়া। এরই সঙ্গে ১৫৭ রানে জয় নিশ্চিত করে টিম ইন্ডিয়া।
পিছিয়ে থেকেও বিদেশের মাটিতে এমন জয়ে নিশ্চত ভাবে হাসি ফুটিয়েছে ভারতীয়দের মুখে। টিম ইন্ডিয়ার ভক্তরাও দলের এই লড়াই দেখে খুশি হচ্ছেন। আর হবেন নাই বা কেন, কারণ এই রকম লড়াইতো আর বারবার দেখা যায়না। রেকর্ড বলছে বিদেশের মাটিতে ভারত পিছিয়ে গিয়েও এ ভাবে লড়াইয়ে ফিরেছিল দু’বার। ১৯৮১ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে এমসিজিতে এমন লড়াকু খেলা দেখিয়েছিল টিম ইন্ডিয়া। সেই ম্যাচে প্রথম ইনিংসে ১৮২ রানে পিছিয়ে ছিল ভারত। সেই ম্যাচ ৫৯ রানে জিতেছিল ভারত। এ ছাড়াও ১৯৭৬ সালেও এমন ঘটনা ঘটেছিল। সে বার ১৩১ রানে পোর্ট অফ স্পেনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে পিছিয়ে ছিল ভারত। সেই ম্যাচে জয় পেয়েছিল ভারত। আর এ বার ওভাল দেখলো ভারতের সেই লড়াই।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।