KKR vs RR: এক লাফে আট থেকে চারে কেকেআর, দাপুটে জয়ে প্লে-অফের দৌড়ে টিকে কলকাতা

ব্যাট হাতে মর্গ্যান ও বল হাতে কামিন্স জেতালেন নাইট রাইডার্সকে।

উইকেট নেওয়ার পর প্যাট কামিন্সকে অভিনন্দন সতীর্থদের। ছবি- আইপিএল।

৮১ রানের ব্যবধানে জিততে পারলে কেকেআরের সামনে সুযোগ ছিল প্লে-অফের টিকিট নিশ্চিত করার। তবে শেষমেশ সেটা সম্ভব হয়নি। যদিও রাজস্থানের বিরুদ্ধে ৬০ রানের বড় ব্যবধানে জয় তুলে নিয়ে প্লে-অফের সম্ভাবনা জিইয়ে রাখল কলকাতা নাইট রাইডার্স।

দুবাইয়ে প্রথমে ব্যাট করে কেকেআর নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটের বিনিময়ে ১৯১ রান তোলে। জবাবে ব্যাট করতে নেমে রাজস্থান ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৩১ রানে আটকে যায়।

(আইপিএলের যাবতীয় আপডেট ও লাইভ স্কোর জানতে ক্লিক করুন এখানে।)

ব্যাট হাতে নাইট শিবিরকে নির্ভরতা দেন ক্যাপ্টেন মর্গ্যান। তিনি ৩৫ বলে ৬৮ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন। বল হাতে ৩৪ রানের বিনিময়ে ৪ উইকেট নিয়ে কার্যত একাই রয়্যালস শিবিরে ধস নামান প্যাট কামিন্স।

ইনিংসের প্রথম ওভারেই কেকেআর নীতিশ রানার উইকেট হারিয়ে বসে। গিল ও ত্রিপাঠী দ্বিতীয় উইকেটের জুটিতে ৭২ রান যোগ করেন। গিল ৩৬ রান করে আউট হওয়ার পরেই ধস নামে কলকাতার ইনিংসে।

নারিন খাতা খোলার আগেই সাজঘরে ফেরেন। ত্রিপাঠী ৩৯ রান করে উইকেট দেন। শূন্য রানে আউট হন কার্তিকও। ১৩ ওভারে কেকেআরের স্কোর ছিল ৫ উইকেটে ১০০। সেখান থেকে শেষ ৭ ওভারে ৯১ রান যোগ করে নাইট রাইডার্স।

রাসেল ১১ বলে ২৫ রান করেন। কামিন্স ১৫ রান যোগ করেন। মর্গ্যান ৫টি চার ও ৬টি ছক্কার সাহায্যে ৩৫ বলে ৬৮ রান করে অপরাজিত থাকেন।

রাহুল তেওয়াটিয়া ২৫ রানে ৩ উইকেট নেন। জোফ্রা আর্চার ৪ ওভারে মাত্র ১৯ রানের বিনিময়ে ১টি উইকেট দখল করেন। কার্তিক ত্যাগী নেন ২টি উইকেট। ১টি উইকেট গোপালের।

পালটা ব্যাট করতে নেমে রাজস্থান নিয়মিত অন্তরে উইকেট খোয়াতে থাকে। উথাপ্পা ৬, স্টোকস ১৮, স্মিথ ৪, স্যামসন ১, রিয়ান ০ রান করে আউট হন। বাটলার দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৫ রান করে ক্রিজ ছাড়েন। তেওয়াটিয়া করেন ৩১ রান। গোপাল ২৩ রানে অপরাজিত থাকেন। আর্চার ৬ ও কার্তিক ২ রান করে ডাগ-আউটে ফেরেন।

৪ উইকেট নেওয়ার সুবাদে ম্যাচের সেরা হন কামিন্স। ২টি করে উিকেট নেন মাভি ও বরুণ। ১টি উইকেট নাগারকোটির।

চেন্নাই সুপার কিংস আগের ম্যাচে কিংস ইলেভেনকে হারানোর পর কেকেআর পয়েন্ট টেবিলের ৮ নম্বরে চলে যায়। সেখান থেকে বড় জয়ে তারা এক লাফে উঠে আসে ৪ নম্বরে। লিগে কেকেআরের সংগ্রহ ১৪ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট। যদিও প্লে-অফের যোগ্যতা অর্জন করার জন্য নাইটদের তাকিয়ে থাকতে হবে বাকি ম্যাচগুলির দিকে।