শতরান না আইপিএল? এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে বিরাট কোহলির লক্ষ্য কী? এই নিয়ে নানা জল্পনা চলছে। তবে জাতীয় দলের প্রাক্তন উইকেটকিপার সাবা করিম মনে করেন, বিরাট নিশ্চিত ভাবে আইপিএল-ই জিততে চাইবে। তাতে তিনি শতরান পেলেন বা না পেলেন, তা নিয়ে কোনও মাথাব্যথা থাকবে না।
২০১৯ সালের ২৩ নভেম্বর বিরাট শেষ বার শতরান করেছিলেন। ইডেনে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রথম ডে-নাইট টেস্টে। তার পর থেকে আর শতরানের মুখ দেখেননি তিনি। সম্প্রতি ইংল্যান্ড সিরিজ রান পেলেও তিন অঙ্কের ঘরে পৌঁছানো হয়নি তাঁর। তবে আইপিএলের হাত ধরে নতুন ভাবে ঘুরে দাঁড়াতে বদ্ধপরিকর ভারত অধিনায়ক। আইপিএলেও কোহলির পাঁচটি শতরান রয়েছে। তবে ২০১৬-র পর আর তিনি এই টুর্নামেন্টেও শতরান পাননি। এর পাশাপাশি কোহলির কাছে আইপিএল চ্যাম্পিয়ন হওয়াটাও গুরুত্বপূর্ণ। কারণ তিনি একবারও আইপিএল জয়ের স্বাদ পাননি।
২০১১ সাল থেকে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর অধিনায়কত্ব করেছেন বিরাট। কিন্তু আইপিএল ট্রফি এখনও অধরা। সে কারণেই সাবা করিম বলছিলেন, ‘যদি বিরাটকে জিজ্ঞেস করা হয়, এ বারের আইপিএল থেকে সে কী চাইছে, শতরান না আরসিবি-কে চ্যাম্পিয়ন করা, আমার মনে হয় বিরাট নিশ্চিত ভাবে বলবে, ওর স্বপ্ন হল আরসিবি-কে চ্যাম্পিয়ন করা। সেই সঙ্গে এই জয়ে ও নিজেরও কিছু অবদান রাখতে চাইবে। আমার মনে হয় না, বিরাট শতরান করল বা না করল, তাতে ওর ক্যারিয়ারে কিছু প্রভাব পড়বে। তবে নিঃসন্দেহে ওর ক্যারিয়ারে একটা পার্থক্য হবে, যদি ও আইপিএল ট্রফি জিততে পারে।’
চেন্নাইয়ের স্পিন সহায়ক পিচে খেলাটা বিরাটের কাছে নিঃসন্দেহে চ্যালেঞ্জিং হবে। কারণ সম্প্রতি অফ-স্পিনাররা তাঁকে বহু বার কাবু করেছে। বিশেষ করে ইংল্যান্ড সিরিজে মইন আলি এবং আদিল রসিদের বলে তিনি বারবার আউট হয়েছেন। তবে সাবা করিম মনে করেন, বিরাট সব দিকটাই সমালে নিতে পারবেন। তা ছাড়া এ বার তিনি আইপিএলে ওপেন করারও সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। করিমের দাবি, ‘এটা (চেন্নাইয়ের স্পিন সহায়র পিচে খেলা) নিঃসন্দেহে চ্যালেঞ্জিং। কিন্তু ভাল বিষয় হল, বিরাট ওপেন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বড় রান করার ক্ষেত্রে এটা ওর জন্য খুব বড় সুযোগ। ’
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।