তারুণ্যের উপর জোর দিয়ে আইপিএলের মেগা নিলাম থেকে ঢেলে দল সাজায় সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। তা সত্ত্বেও তারা আইপিএল ২০২২-এর প্লে-অফে জায়গা করে নিতে ব্যর্থ হয়। দেখে নেওয়া যাক হায়দরাবাদের ব্যর্থতার সম্ভাব্য কারণ।
ম্যাচ উইনার বিদেশির অভাব: হায়দরাবাদ শিবিরে নিকোলাস পুরান, কেন উইলিয়ামসন, এডেন মার্করামের মতো কার্যকরী বিদেশি ক্রিকেটার থাকলেও একার হাতে ম্যাচের রং বদলে দিতে পারেন, এমন কারও অভাব স্পষ্ট ধরা পড়ে। পুরানের ক্ষমতা রয়েছে হিসাব বদলে দেওয়ার। তবে তিনি নির্ভরোগ্য নন মোটেও। ধারাবাহিকতার অভাবও রয়েছে। উইলিয়ামসন-মার্করামরা বিশ্বমানের হলেও টি-২০ ক্রিকেটে প্রতিপক্ষ বোলারদের থেকে সমীহ আদায় করে নেওয়ার মতো নন কখনই।
বোলিং নির্ভরতা: সানরাইজার্স হায়দরাবাদ বরাবর বোলিং আক্রমণকে প্রাধান্য দিয়ে আসে। এবারও তার ব্যক্তিক্রম হয়নি। ভুবনেশ্বর, উমরান, নটরাজনরা ব্যক্তিগত পারফর্ম্যান্সে নজর কাড়েন বটে, তবে বাদিকের থেকে তেমন একটা সমর্থন পাননি। বিশেষ করে রশিদ খান দল ছাড়ার পরে হায়দরাবাদের স্পিন আক্রমণকে নিতান্ত ভোঁতা দেখিয়েছে। ওয়াশিংটন সুন্দর ফর্মে না থাকায় রশিদের খামতি মেটানো সম্ভব হয়নি হায়দরাবাদের পক্ষে।
আরও পড়ুন:- IPL 2022: জলে যায়নি সাড়ে এগারো কোটি, এবছর আইপিএলে পঞ্জাব কিংসের সেরা পাওনা লিভিংস্টোনই
পরিকল্পনায় ভুল: এবছর মেগা নিলামের আগে আব্দুল সামাদকে রিটেন করে সানরাইজার্স। তবে তাঁকে ২টির বেশি ম্যাচে মাঠে নামাতে পারেনি তারা। দলের প্রধান ক্রিকেটারদের সচরাচর ধরে রাখে ফ্র্যাঞ্চাইজিরা। সেদিক থেকে হায়দরাবাদ মরশুম শুরুর আগেই হিসাবে গোলমাল করে ফেলে।
সর্বোপরি হায়দরাবাদে এমন কাউকে চোখে পড়েনি, যেঁ কিনা সামনে থেকে দলকে টেনে নিয়ে যেতে পারেন। উইলিয়ামসন সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে ব্যর্থ। মার্করাম-পুরানের মতো তিনিও গড়পড়তা ক্রিকেট খেলেছেন। ব্যাটিং বিভাগকে অভিষেক ও ত্রিপাঠী নির্ভর দেখিয়েছে। উমরান ২২টি উইকেট পেলেও প্রচুর রান খরচ করেছেন। ফলে চাপ বজায় থাকেনি প্রতিপক্ষের উপরে।