শেষ ওভারের প্রথম তিন বলে তিনটি ছক্কা হাঁকিয়ে গুজরাট টাইটানসকে ফাইনালে তোলেন ডেভিড মিলার। আমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে ফাইনাল খেলবে গুজরাট টাইটানস। মূলত ডেভিড মিলার এবং হার্দিক পাণ্ডিয়ার ব্যাটেই ফাইনালে উঠল তারা। ৭ উইকেটে রাজস্থান রয়্যালসকে কোয়ালিফায়ার ওয়ানে হারিয়ে সরাসরি ফাইনালে উঠল টাইটানস। সেই সঙ্গে তারা আইপিএলের ইতিহাসে বড় নজিরও স্পর্শ করে ফেলল।
গুজরাট টাইটানস হল আইপিএলের তৃতীয় দল, যারা অভিষেক মরশুমেই ফাইনালে উঠল। অর্থাৎ আইপিএল যে বার প্রথম শুরু হয়েছিল ২০০৮ সালে, সে বার ফাইনালে উঠেছিল রাজস্থান রয়্যালস এবং চেন্নাই সুপার কিংস। তারা ছাড়া আইপিএলের অভিষেক মরশুমে একমাত্র গুজরাট টাইটানসই ফাইনালে উঠল।
আইপিএলের অভিষেক মরশুমে অর্থাৎ ২০০৮ সালে যে কোনও ২টি দল যে ফাইনালে উঠবে, এটা স্বাভাবিক ছিল। তবে এ বার আইপিএলের হেভিওয়েট পুরনো ৮টি টিমকে টেক্কা দিয়ে ফাইনালের টিকিট জোগাড় করার কৃতিত্ব নিঃসন্দেহে অনেক বেশি গুজরাট টাইটানসের। সে দিক থেকে হার্দিকের দলের বাহবা প্রাপ্য।
মঙ্গলবার টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে দ্বিতীয় ওভারের শেষ বলে যশস্বী জয়সওয়ালের উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় রাজস্থান। তখন দলের হাল ধরেন সঞ্জু স্যামসন এবং জোস বাটলার। ২৬ বলে ৪৭ করে মাঠ ছাড়েন সঞ্জু। তখন ক্রিজে আসেন দেবদূত পাডিক্কাল। তিনি ২০ বলে ২৮ করে আউট হয়ে যান। তবে বাটলার ৫৬ বলে ৮৯ করেন। যার সুবাদে রাজস্থান রয়্য়ালস নির্দিষ্ট ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৮৮ রান করে।
জবাবে ব্যাট করতে নামলে শুরুতে ঋদ্ধিমান সাহার উইকেট হারানোর পরেও পাওয়ার প্লে-তে দুরন্ত লড়াই করেন শুভমন গিল (২১ বলে ৩৫ রান) এবং ম্যাথু ওয়েড (৩০ বলে ৩৫ রান)। তবে তাঁরা দু'জনেই আউট হলে দায়িত্ব নেন হার্দিক পাণ্ডিয়া এবং ডেভিড মিলার। মিলারের ৬৮ রানের পাশাপাশি হার্দিক ২৭ বলে অপরাজিত ৪০ রান করেন। ৩ বল বাকি থাকতে ৩ উইকেটে ১৯১ রান করে ফেলে টাইটানস।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।