ইতিমধ্যেই এ বারের আইপিএলে সকল দলই অন্তত সাতটি করে ম্যাচ খেলে ফেলেছে। আধা মরশুম কেটে গিয়েছে। আইপিএলের প্লে অফের ছবিটাও ধীরে ধীরে স্পষ্ট হয়ে উঠছে। তবে মাঝ মরশুম হতে না হতেই প্রথম চারের দৌড় থেকে কার্যত ছিটকে গিয়েছে টুর্নামেন্টের দুই সবথেকে সফল দল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ও চেন্নাই সুপার কিংস।
পঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে ১১ রানে হেরে বর্তমানে আট ম্যাচে মাত্র দুইটি জয়ের সুবাদে লিগ তালিকায় নয় নম্বরে রয়েছে সিএসকে। বাকি ছয়টি ম্য়াচ জিতলে তারা প্লে অফে যেতেই পারে, তবে তাঁর সম্ভবনা মাত্র ২%। মুম্বইয়ের অবস্থা আরও শোচনীয়। শুধু নামের জন্যই তারা প্লে অফের দৌড়ে রয়েছে। প্রথম চারে তাদের থাকার সম্ভাবনা ০.০০০২%। অর্থাৎ ধরে নেওয়াই যায় তারা প্লে অফে যাচ্ছে না। আইপিএলের তৃতীয় সবথেকে সফল দল কলকাতা নাইট রাইডার্সের অবস্থাও খারাপ। মুম্বই, সিএসকের ঠিক উপরে, লিগ তালিকায় বর্তমানে আট নম্বরে বিরাজমান তারা।
আটটি ম্যাচ খেলে তিনটি ম্যাচ জেতা কেকেআরের প্লে অফে খেলার সম্ভাবনা মাত্র ৯%। স্বাভাবিকভাবেই লিগ তালিকায় শীর্ষে থাকা গুজরাটের প্লে অফে যাওয়া কার্যত নিশ্চিত। বাকি ছয় ম্যাচে দুইটি জিতলেই তারা প্লে অফে চলে যেতে পারে। হার্দিক পান্ডিয়ার নেতৃত্বাধীন দল যে ফর্মে রয়েছে, তাতে তারা প্লে অফে না গেলে তা দুর্ভাগ্যই হবে। তাদের প্লে অফে খেলার সম্ভাবনা সবথেকে বেশি, ৮৯%। বাকি তিন জায়গার জন্য কড়া টক্কর হবে চার দলের।
সানরাইজার্স হায়দরাবাদ এবং রাজস্থান রয়্যালসের প্লে অফ খেলার সম্ভাবনা ৭০%। আবার লখনউ সুপার জায়ান্টস ও রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের ক্ষেত্রে তা ৫৭%। সিএসকেকে হারালেও পঞ্জাব কিংসের প্লে অফ খেলার সম্ভাবনা ২৮%, সেখানে দিল্লি ক্যাপিটালসের সেই সম্ভবানা মাত্র ১৮%। তবে আইপিএলের দ্বিতীয় লেগে অনেক সময়ই ছবিটা সম্পূর্ণ বদলে যায়। ঠিক যেমন গত মরশুমে কেকেআরের ক্ষেত্রে হয়েছিল। তাই এই তালিকা অনুযায়ীই প্লে অফের দল নির্ধারিত হবে, তা বলা কঠিন।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।