বাংলা নিউজ >
ময়দান >
আইপিএল-2023 > কোটি কোটি দাম, কাজের বেলায় আলুরদম, স্টোকস, কারান থেকে কার্তিক, পৃথ্বী- 2023 IPL-এ হতাশ করলেন এক ডজন তারকা
কোটি কোটি দাম, কাজের বেলায় আলুরদম, স্টোকস, কারান থেকে কার্তিক, পৃথ্বী- 2023 IPL-এ হতাশ করলেন এক ডজন তারকা Updated: 02 Jun 2023, 11:29 AM IST Tania Roy ২০২৩ আইপিএল শেষ। প্রতি বারের মতো অনেক নতুন তারকা উঠে এসেছেন এ বারেও। আবার যাঁদের ঘিরে প্রত্যাশা ছিল আকাশছোঁয়া, তাঁদের অনেকেই চূড়ান্ত ফ্লপ হয়েছেন। সেই রকম এক ডজন ফ্লপ ক্রিকেটারের তালিকা দেখে নিন এক নজরে: 1/12 ভালো ছন্দে থাকা ইংল্যান্ডের অলরাউন্ডার বেন স্টোকসকে ১৬.২৫ কোটি দিয়ে ২০২৩ আইপিএলের মিনি-নিলামে কিনেছিল চেন্নাই সুপার কিংস। তবে তিনি সিএসকে-ক চূড়ান্ত হতাশ করেছেন। মাত্র ২টি ম্যাচ খেলেছেন। বাকি সময়টা চোট নিয়ে রিজার্ভ বেঞ্চ গরম করেছেন। ২ ম্যাচে তাঁর সংগ্রহ মাত্র ১৫ রান। আর বল করেছেন ১ ওভার। ১৮ রান দিয়ে কোনও উইকেটই তিনি পাননি। 2/12 ২০২২ আইপিএলে লখনউ সুপার জায়ান্টসের হয়ে ভালো পারফরম্যান্স করে জাতীয় দলে সুযোগ পেয়েছিলেন দীপক হুডা। কিন্তু এই বছর তিনি চূড়ান্ত হতাশ করেছেন। তাঁর উপর প্রত্যাশা ছিল অনেক বেশি। কিন্তু এলএসজির হয়ে ১২টি ম্যাচ খেলে ১৭ রানের বেশি করতে পারেননি। ৭.৬-এর হতাশাজনক গড়ে এবং ৯৪ এর নিচে স্ট্রাইক রেট মাত্র ৮৪ রান করেছেন। মাত্র ১ ওভার বল করার সুযোগ পেয়েছেন। কিন্তু ৮ রান দিয়ে কোনও উইকেট পাননি। 3/12 ইংল্যান্ডের তরুণ ব্যাটিং সেনসেশন হ্যারি ব্রুককে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ কেনার পর থেকেই আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন। নিলাম টেবিলে রাজস্থান রয়্যালসকে হারিয়ে হায়দরাবাদ হ্যারি ব্রুককে ১৩.২৫ কোটিতে কিনেছিল। টেস্ট অভিষেকের পর থেকেই তিনি বিশ্ব ক্রিকেটে ঝড় তুলেছেন। ক্রিকেটের প্রাক্তন কিংবদন্তিরা তাঁকে নিয়ে একেবারে উচ্ছ্বসিত ছিলেন। কিন্তু আইপিএলে তাঁর অভিষেক মরশুমে তিনি তাঁর ভক্তদের ব্যাপক ভাবে হতাশ করেছেন। তিনি যে ১১টি ম্যাচে খেলেন, তাতে তিনি ১২৩.৩৮ স্ট্রাইকরেটে মাত্র ১৯০ রান করেছেন। এই ১৯০ রানের মধ্যে ইডেন গার্ডেন্সে কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে এক ইনিংসে ১০০ রান করেছিলেন। 4/12 রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের হয়ে ২০২২ আইপিএলে বিধ্বংসী মেজাজে ছিলেন দীনেশ কার্তিক। যার জেরে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলে জায়গা করে নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ২০২৩ সালটি কার্তিকের জন্য ছিল চূড়ান্ত হতাশার। তাঁর ১৬ বছরের দীর্ঘ আইপিএল ক্যারিয়ারে সবচেয়ে খারাপ মরশুম কাটিয়েছেন তিনি। এ বার ১৩টি ইনিংস খেলে ৩৭ বছরের তারকা ১২-এর নীচে একটি বিপর্যয়কর গড়ে মাত্র ১৪০ রান করেছেন। তার ব্যাটিং ছাড়াও কার্তিক স্টাম্পের পিছনে কিছু গুরুত্বপূর্ণ ভুলভ্রান্তিও করেছেন, যার খেসারত দলকে দিতে হয়েছে। 5/12 সানরাইজার্স হায়দরাবাদের উমরান মালিক আর এক ফ্লপ তারকা। ২০২২ সালে হায়দরাবাদের সেরা বোলার ছইলেন। যার জেরে ভারতীয় দলের দরজাও খুলেছিল তাঁর জন্য। কিন্তু তরুণ স্পিডস্টার এই বছর বেশির ভাগ সময়েই বেঞ্চে বসে কাটিয়েছেন। উমরান ৮ ম্যাচ খেলে ১২০ বলে ২১৭ রান দিয়েছেন। ১০.৮৫ ইকোনমি রেটে মাত্র পাঁচ উইকেট নিয়েছেন। গত বছর যেখানে তিনি ২২ উইকেট নিয়েছিলেন। ব্যাট হাতে তাঁর সংগ্রহ ১৯ রান। এটাই তাঁর সর্বোচ্চ রান। 6/12 ১৮.৫ কোটির স্যাম কারানকে নিয়ে বাজিমাত করেছিল পঞ্জাব কিংস। কিন্তু সেই প্লেয়ারই এ বার চূড়ান্ত হতাশ করেছে। ইংলিশ অলরাউন্ডার আইপিএলের ইতিহাসে সবচেয়ে ব্যয়বহুল ক্রয় হলেও, পারফরম্যান্সের বেলা অষ্টরম্ভা। কারান ১৪ ম্যাচে তিনি ২৭৬ রান করেন এবং ১০টি উইকেট নেন। এমন কী নিয়মিত অধিনায়ক শিখর ধাওয়ানের অনুপস্থিতিতে তিনি পঞ্জাব ফ্র্যাঞ্চাইজির নেতৃত্ব দেন। কিন্তু তিনি ব্যক্তিগত এবং অধিনায়ক উভয় হিসেবেই কম পারফরম্যান্স করেছিলেন। 7/12 আইপিএল ২০২৩ মিনি-নিলামে রাজস্থান ৫.৭৫ কোটি দিয়ে জেসন হোল্ডারকে কিনেছিল। গত বছর লখনউ সুপার জায়ান্টসকে ৮.৭৫ কোটিতে কিনেছিল। এবং তিনি ১৪ উইকেট নিয়েছিলেম। এই বছর রাজস্থান জেসনকে ডেথ বোলিং বিকল্প হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করে। কিন্তু এই মরশুমে ফ্লপ প্লেয়ারদের তালিকায় সামনের দিকেই থাকবেন ক্যারিবিয়ান পেসার। ৮ ম্যাচ খেলে ১৭১ বলে ২৮৪ রান দিয়েছেন। ৭১ বোলিং গড় এবং ৯.৯৬ ইকোনমি রেটে মাত্র চার উইকেট নিয়েছেন। ব্যাট হাতে তিন ইনিংসে মাত্র ১২ রান করেছেন। 8/12 চেন্নাইয়ে এলএসজির বিপক্ষে চার উইকেটের বোলিং পারফরম্যান্স বাদ দিলে, মইন এই মরশুমে হতাশই করেছেন। ব্যাট এবং বল- দু'ক্ষেত্রেই মইন ফ্লপ। সিএসকে অলরাউন্ডারের ব্যাটিং গড় মাত্র ১৭.৭১। সর্বোচ্চ রান ২৩। মোট রান ১২৪। বোলিংয়ের ক্ষেত্রে ১৫৬ বল ১৯৫ রান দিয়ে ৯ উইকেট নিয়েছেন। ইকোনমি রেট ৭.৫০। চিপকেপ পিচ অনুযায়ী মইন আলির আরও ভালো পারফরম্যান্স করা উচিত ছিল। 9/12 এই মরসুমে দিল্লি ক্যাপিটালসের হয়ে খেলা পৃথ্বী শ’কে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিপক্ষে খেলা দিল্লির সাত নম্বর ম্যাচের পর থেকেই দল থেকে বাদ দেওয়া হয়। ২০২২ আইপিএলে ঝোড়ো মেজাজে থাকা পৃথ্বী এই বছর চূড়ান্ত ফ্লপ। তাঁর পরের মরশুমে দল পাওয়া নিয়েই প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। ৮ ম্যাচে ১৩.২৫ গড়ে ১০৬ রান করেছেন। 10/12 সানরাইজার্স হায়দরাবাদের উমরান মালিক আর এক ফ্লপ তারকা। ২০২২ সালে হায়দরাবাদের সেরা বোলার ছইলেন। যার জেরে ভারতীয় দলের দরজাও খুলেছিল তাঁর জন্য। কিন্তু তরুণ স্পিডস্টার এই বছর বেশির ভাগ সময়েই বেঞ্চে বসে কাটিয়েছেন। উমরান ৮ ম্যাচ খেলে ১২০ বলে ২১৭ রান দিয়েছেন। ১০.৮৫ ইকোনমি রেটে মাত্র পাঁচ উইকেট নিয়েছেন। গত বছর যেখানে তিনি ২২ উইকেট নিয়েছিলেন। ব্যাট হাতে তাঁর সংগ্রহ ১৯ রান। এটাই তাঁর সর্বোচ্চ রান। 11/12 টি টোয়েন্টি ক্রিকেটের অন্যতম সেরা বোলার হলেন ইংল্যান্ডের পেসার জোফ্রা আর্চার। গত বছর চোটের কারণে আইপিএলে খেলতে পারেননি আর্চার। কিন্তু এই বছর মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে খেলেছেন আর্চার। কিন্তু চেনা ছন্দে পাওয়া যায়নি জোফ্রাকে। চোট এখনও সারেনি জোফ্রা। যার প্রভাব পড়েছে খেলায়। দুই বছর ধরে মুম্বই জোফ্রার পিছনে অনর্থক টাকা খরচ করেছে। কোনও লাভই হয়নি। ২০২৩-এ মাত্র ৫ ম্যাচ খেলেছেন জোফ্রা। ১২০ বল করে ১৯০ রান দিয়ে মাত্র ২ উইকেট নিয়েছেন। ইকোনমি রেট ৯.৫০। 12/12 বেঙ্গল স্পিডস্টার মুকেশ কুমারকে আনক্যাপড হলেও, দিল্লি ক্যাপিটালস ২০২৩ আইপিএল মিনি-নিলামে ৫.৫ কোটিতে কিনেছিল। অক্টোবরের শুরুতে ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের সময় তিনি প্রথম বার ভারতে ডাক পেয়েছিলেন। দিল্লি তাদের অধিনায়ক ঋষভ পন্তের অভাবের কারণে শক্তিশালী ভারতীয় বোলিং লাইন আপ তৈরি করতে চেয়েছিল। তারা মুকেশকে অধিগ্রহণ করে এবং তাঁকে ঘিরে একটি কোর গ্রুপ তৈরি করার কথা ভেবেছিল। কিন্তু টুর্নামেন্ট এগিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাদের পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়। ডিসি দীর্ঘ দিন ধরে তাদের প্রথম জয় নিবন্ধন করতে ব্যর্থ হন এবং সেই সঙ্গে মুকেশের পারফরম্যান্সও ছিল তলানিতে। প্রথম আইপিএল মরশুমে মুকেশ তাঁর লাইন এবং লেন্থ নিয়ে লড়াই করছিলেন। তিনি ১০ ম্যাচে সুযোগ পেয়েছিলেন। ৭টি উইকেট নেন মুকেশ।