KKR vs GT: শেষ ২ ওভারে ৪৫ রান হজম- এবার রিঙ্কু বাঁচালেও এই ৪ কারণে IPL-এ লাস্ট হতে পারে KKR Updated: 10 Apr 2023, 10:47 AM IST Ayan Das KKR vs GT: গুজরাট টাইটানসের বিরুদ্ধে একাহাতে কলকাতা নাইট রাইডার্সকে (কেকেআর) বাঁচিয়ে নিয়েছেন রিঙ্কু সিং। তবে তাতে ঢাকা পড়ছে না কেকেআরের একাধিক খামতি। যা এবারের আইপিএলে কেকেআরের জন্য বিপদ ডেকে আনতে পারে। 1/5 রবিবার আমদাবাদে প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে চার উইকেটে ২০৪ রান তোলে গুজরাট। ৩৮ বলে ৫৩ রান করেন সাই সুদর্শন। ২৪ বলে ৬৩ রান করেন বিজয় শংকর। জবাবে রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি কেকেআরের। তবে বেঙ্কটেশ আইয়ারের ৪০ বলে ৮৩ রান এবং নীতীশ রানার ২৯ বলে ৪৫ রানের সুবাদে ফের খেলায় ফেরে কেকেআর। কিন্তু ডেথ ওভারের শুরুতেই পরপর উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় নাইট ব্রিগেড। শেষ ওভারে জয়ের জন্য লাগত ২৯ রান। শেষ পাঁচ বলে পাঁচ ছক্কা মেরে কেকেআরকে জিতিয়ে দেন রিঙ্কু। (ছবি সৌজন্যে আইপিএল) 2/5 :জঘন্য ডেথ বোলিং: শেষ পাঁচ ওভারে ৭২ রান হজম করে কেকেআর। ১৯ তম ওভারে গুজরাট তোলে ২৫ রান। ২০ তম ওভারে কেকেআর দেয় ২০ রান। ওই দুটি ওভারই ম্যাচটাকে শেষ করে দেয়। তাও ওই দুটি ওভারে বল করেন কোটি-কোটি টাকা পাওয়া লকি ফার্গুসন এবং শার্দুল ঠাকুর। যে জঘন্য ডেথ বোলিংই ম্যাচের ফারাক গড়ে দিচ্ছিল। তাঁদের মুখরক্ষা করে দেন রিঙ্কু। (ছবি সৌজন্যে এএফপি) 3/5 বাজে পেস বোলিং: কেকেআরের পেসাররা রবিবার পুরোপুরি ডুবিয়ে দেন। তিন ওভারে ৪০ রান দেন শার্দুল ঠাকুর। ২০ তম ওভারেই শুধুমাত্র ২০ রান দেন। অন্যদিকে, চার ওভারে ৪০ রান খরচ করেন লকি ফার্গুসন। ১৯ তম ওভারে খরচ করেন ২৫ রান। দলের স্ট্রাইক বোলাররা যদি সেরকম বল করেন, তাহলে যে কোনও দলেরই প্রতিদিন একজন করে রিঙ্কুকে লাগবে। (ছবি সৌজন্যে আইপিএল) 4/5 ওপেনিংয়ে ব্যর্থ ভারতীয় ব্যাটার: এবার আইপিএলে তিনটি ম্যাচ খেলে ফেলেছে কেকেআর। তিনটি ম্যাচেই ব্যর্থ হয়েছেন কেকেআরের ভারতীয় ওপেনার (তিন ম্যাচে তিনজন ওপেনিং করেছেন)। এত বড় রান করতে নেমে যেখানে শুরুটা ভালো হওয়া উচিত, সেখানে গুজরাটের বিরুদ্ধেও কেকেআরের ভারতীয় ওপেনার রান করতে পারলেন না। (ছবি সৌজন্যে আইপিএল) 5/5 পরপর উইকেট হারানো: একটি উইকেট পড়লেই পরপর উইকেট হারাবে - সেটাই যেন কেকেআরের অলিখিত নিয়ম হয়ে গিয়েছে। রান তাড়া করতে নেমে একটা সময় ছুটছিল কেকেআর। কিন্তু বেঙ্কটেশ আইয়ার আউট হতেই কেকেআরের ইনিংসে ধস নামে। ১৭ তম ওভারের প্রথম তিন বলে আন্দ্রে রাসেল (রশিদের জীবনের সবথেকে খারাপ ছিল সম্ভবত), সুনীল নারিন এবং শার্দুল ঠাকুরকে আউট করে খেলার মোড় ঘুরিয়ে দেন রশিদ খান। তার ফলে ১৬ ওভারে চার উইকেটে ১৫৫ রান থেকে ১৬.৩ ওভারে কেকেআরের স্কোর দাঁড়ায় সাত উইকেটে ১৫৫ রান। রিঙ্কুর অবিশ্বাস্য ইনিংস না হলে সেখানেই শেষ হয়ে যেত নাইট ব্রিগেডের জয়ের আশা।