কোহলি-গম্ভীরের ঝামেলা নিয়ে মিম বানালো কলকাতা পুলিশ

ভারতীয় ক্রিকেটের দুই অন্যতম সেরা ক্রিকেটার বিরাট কোহলি এবং গৌতম গম্ভীরকে নিয়ে মিম তৈরি করে ফেলেছে কলকাতা পুলিশ। তবে সেই মিম বানানো হয়েছে জনসচেতনতার কাজে ব্যবহার করতেই।

বিরাট কোহলি-গৌতম গম্ভীরের ঝামেলা।

সোমবারের লখনউ সুপার জায়ান্টস এবং রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর ম্যাচ এখন আলোচনার কেন্দ্রে। এই ম্যাচকে ঘিরে বিতর্ক এখন শুধু ভারতের নয়, বিশ্ব ক্রিকেট মহলে সবচেয়ে বড় চর্চার বিষয় হয়ে উঠেছে। এই হাইভোল্টেজ ম্যাচের আগুন এখনও গনগন করে চলছে। আর এই আগুন সহজে নেভারও নয়। বিরাট কোহলি- গৌতম গম্ভীরের বিবাদকে কেন্দ্র করে জ্বলছে নেটপাড়াও। কেউ পক্ষ নিচ্ছেন গম্ভীরের, আবার কেউ পক্ষ নিচ্ছেন কোহলির।

তবে কলকাতা পুলিশ অবশ্য এই ঘটনাকে জনসচেতনতার প্রচারের কাজেই ব্যবহার করে বসেছে। কলকাতা পুলিশের তরফে একটি মিম শেয়ার করা হয়েছে। যেখানে দেখা গিয়েছে, মানি হেইস্টের ‘প্রফেসর’, বিরাট কোহলি ও গৌতম গম্ভীরকে।

প্রফেসরের কানে ইয়ারফোন দেওয়া একটি ছবি, যেন তিনি ফোনে কিছু জানতে চাইছেন। পাশে লেখা, ‘আপনার ফোনে যে ওটিপি গিয়েছে, সেটি বলুন।’ আর অন্য দিকে বিরাট ও গম্ভীরের মুখে আঙুল দিয়ে চুপ করানোর সেই বিতর্কিত ভঙ্গির ছবি। আর এই মিমটি ব্যবহার করেই অনলাইন প্রতারণার কারবার নিয়ে সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে চেয়েছে কলকাতা পুলিশ। আসলে কোনও অজানা নম্বর থেকে ফোনে কেউ ওটিপি চাইলে, আপনার কী করা উচিত, সেই বিষয়টিই বোঝাতে চেয়েছে কলকাতা পুলিশ। তারা বলতে চেয়েছে, কোনও উত্তর দেবেন না এই ক্ষেত্রে।

কলকাতা পুলিশের মিম।

বর্তমানে প্রযুক্তির যত উন্নতি হচ্ছে, তত বেশি পাল্লা দিয়ে বাড়ছে অনলাইন প্রতারণার কারবার। বিভিন্ন ক্ষেত্রে অনেকেই অজানা ব্যক্তিকে ওটিপি দিয়ে নিজের সঞ্চিত লাখ লাখ টাকা খুইয়েছেন, এমন গল্প নতুন নয়। এখনও এমন কাজ করে চলেছেন বহু মানুষ। নিজের ভুলে সর্বস্ব খোয়াচ্ছেন। আর সেই বিষয়েই সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে চেয়েছে কলকাতা পুলিশ।

আর সেই জনসচেতনা আনতেই বিতর্কিত ঘটনাকেই কাজে লাগিয়েছে তারা। ভারতীয় ক্রিকেটের দুই অন্যতম সেরা ক্রিকেটারকে নিয়ে মিম তৈরি করে ফেলেছে কলকাতা পুলিশ। গম্ভীর আর কোহলির মুখে আঙুল দেওয়া চুপ করানোর ছবির মাধ্যমে ওটিপি বলতেই বারণ করা হয়েছে। প্রসঙ্গত কলকাতা পুলিশের সোশ্যাল মিডিয়া পেজ থেকে এই ধরনের সতর্কতামূলক পোস্ট মাঝেমাঝেই করা হয়ে থাকে মজার ছলে। এই ধরনের পোস্টগুলির মাধ্যমে এক দিকে যেমন মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করাও অনেক সহজ হয়, তেমনই মানুষকে খুব সহজেই সতর্ক করতে সক্ষম হয় কলকাতা পুলিশ।