ক্যাপ্টেন ঋষভ পন্তের একটা ভুল সিদ্ধান্ত। সেটাই ম্যাচে টার্নিং পয়েন্ট হয়ে দাঁড়ায়। সুযোগ থাকা সত্ত্বেও সংশয় দূর করতে না পারায় আইপিএল ২০২২ থেকে বিদায় নিতে হয় দিল্লি ক্যাপিটালসকে।
মুম্বই ইনিংসের ১৪.৩ ওভারে শার্দুল ঠাকুর বোল্ড করেন ডেওয়াল্ড ব্রেভিসকে। মুম্বইয়ের স্কোর তখন ৩ উইকেটে ৯৫ রান। সুতরাং, জয়ের জন্য তখনও মুম্বইয়ের দরকার ছিল ৬৫ রান। হাতে ছিল ৩৩টি বল। সুতরাং, ওভার প্রতি প্রায় ১২ রান তুলতে হতো রোহিতদের, যা সহজ ছিল না মোটেও।
ব্রেভিস আউট হওয়ার পরে ব্যাট হাতে ক্রিজে আসেন টিম ডেভিড। তিনি নিজের প্রথম বলেই কট বিহাইন্ড হন। তবে জোরালো আবেদন করেননি দিল্লির ক্রিকেটাররা। আম্পায়ার নট-আউট ঘোষণা করেন। ব্যাটে বল লাগার স্পষ্ট আওয়াজ আসা সত্ত্বেও বোলার ও ক্লোজ-ইন ফিল্ডারদের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনার পরে ডিআরএসের সাহায্য না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন ঋষভ পন্ত।
আরও পড়ুন:- MI vs DC: দিল্লিকে কাঁদিয়ে কোহলিদের প্লে-অফের টিকিট উপহার দিলেন রোহিতরা
পরে টেলিভিশন রিপ্লেতে দেখা যায় যে, বল ডেভিডের ব্যাটের কানায় লেগে পন্তের দস্তানায় জমা পড়েছে। পন্ত রিভিউ না নেওয়ায় সে যাত্রায় বেঁচে যান ডেভিড। তিনি শেষমেশ ২টি চার ও ৪টি ছক্কার সাহায্যে ১১ বলে ৩৪ রানের ঝোড়া ইনিংস খেলে মুম্বইকে জয়ের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেন।
এটা যদি ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট হয়ে থাকে, তবে দিল্লির হারের আরও একাধিক কারণ রয়েছে। মুম্বই ইনিংসের ১১.৫ ওভারে ঋষভ পন্ত অতি সহজ ক্যাচ ছাড়েন ডেওয়াল্ড ব্রেভিসের। বেবি এবি তখন দাঁড়িয়েছিলেন ব্যক্তিগত ২৫ রানে। পরে ব্রেভিস আউট হন ৩৭ রান করে। ১২ রান বাড়তি যোগ করা ছাড়াও ব্রেভিস তিলক বর্মার সঙ্গে পার্টনারশিপ এগিয়ে নিয়ে যান, যা ম্যাচ জিততে সাহায্য করে মুম্বইকে।
আরও পড়ুন:- MI vs DC: ব্যাটে বল লেগেছে জানতেন! তাও DRS নেননি কেন? RCB প্লে-অফে ওঠার পর জানালেন পন্ত
তাছাড়া মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের মতো ম্যাচে দিল্লি ক্যাপিটালসও খারাপ ফিল্ডিং করে। হাতে যখন মাত্র ১৫৯ রানের পুঁজি, তখন বাড়তি রান বাঁচানোর বদলে শার্দুল ঠাকুররা বাউন্ডারি গলিয়ে বসেন। ফলে চাপ কমে যায় মুম্বইয়ের ব্যাটসম্যানদের উপর থেকে।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।