ওয়াংখেড়ে ময়দানে নিজেদের ১১তম ম্যাচে একে অপরের মুখোমুখি হয়েছিল রাজস্থান রয়্যালস ও পঞ্জাব কিংস। দুই দলের কাছেই এই ম্যাচের গুরুত্ব একটু বেশিই ছিল। রাজস্থান এই ম্যাচ বড় ব্যবধানে জিতলে লিগ তালিকায় দুইয়ে উঠে আসত এবং পঞ্জাব জিতলে এক ধাক্কায় সাত থেকে চারে উঠে আসত।
ম্যাচে টসে জিতে ডে-নাইট গেমের চলতি প্রথা অনুযায়ী প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন পঞ্জাব অধিনায়ক মায়াঙ্ক। ফর্মে থাকা শিখর ধওয়ান এদিন চলেননি। ১৬ বলে ১২ রানে আউট হন তিনি। তবে তাঁর ওপেনিং পার্টনার জনি বেয়ারস্টো কিন্তু দারুণ ছন্দে ছিলেন। এ মরশুমের আইপিএলে প্রথম অর্ধশতরানও করে ফেলেন তিনি। তবে পঞ্জাব অধিনায়ক মায়াঙ্ক আগরওয়াল ফের ব্যর্থ। যুজবেন্দ্র চাহালের একই ওভারে মায়াঙ্ক ও বেয়ারস্টো যথাক্রমে ১৫ ও ৫৬ রানে আউট হন। লিভিংস্টোন ও ২২ রানে ফেরেন।
তবে শেষের দিকে জীতেশ শর্মার ১৮ বলে অপরাজিত ৩৮ রানের ক্যামিওতে ভর করে নির্ধারিত ২০ ওভারে পাঁচ উইকেটে ১৮৯ রান করে পঞ্জাব। ২৮ রানের বিনিময়ে তিন উইকেট নিয়ে এদিনও রাজস্থানের সেরা বোলার যুজবেন্দ্র চাহালই। জবাবে রাজস্থানের হয়ে জোস বাটলার খুব বেশি রান করতে না পারলেও, ১৬ বলে ৩০ রান করে তিনি দলের হয়ে শুরুটা ভাল করে যান। বাটলারের সঙ্গী হিসাবে এদিন ওপেন করতে নামেন কামব্যাকম্যান যশস্বী জয়সওয়াল। রাজস্থানের তরুণ ওপেনার সুন্দর একটি ইনিংস খেলেন।
৪১ বলে ৬৮ রান করেন যশস্বী। সঞ্জু স্যামসন শুরুটা আগ্রাসীভাবে করেও ১২ বলে ২৩ রানে আউট হন। যশস্বী আউট হওয়ার শিমরন হেতমায়ের ও দেবদূত পাডিক্কাল রাজস্থানকে জয়ের দিকে সহজেই এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন। তবে পঞ্জাবকে কিছুটা হলেও ম্যাচে ফেরান অর্শদীপ। দুর্ধর্ষ ১৯তম ওভারে মাত্র তিন রান খরচ করে ৩১ রানে পাডিক্কালকে সাজঘরে ফেরান। শেষ ওভারে জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় আট রান, দুই বল বাকি থাকতেই তুলে নেন হেতমায়ের। তিনি অপরাজিত থাকেন ৩১ রানে (১৬ বলে)। ছয় উইকেটে ম্যাচ জিতে নেয় রাজস্থান।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।