হতে পারে ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট। তবে তাই বলে জাতীয় দলের সতীর্থদের বাঁধন আলগা হওয়ার সম্ভাবনা নেই আইপিএলে। দেশের হয়ে যাঁরা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই চালান, শহরের গণ্ডিতে ভাগ করে তাঁদের পারস্পরিক সম্ভ্রমে ভাঙন ধরানো সম্ভব নয়। সেটাই বোঝা গেল আরও একবার।
পুণেতে আরসিবি বনাম মুুম্বই ইন্ডিয়ান্স ম্যাচে বিরাট কোহলির একটি আচরণেই স্পষ্ট হয়ে গেল, ক্যাপ্টেন সর্বদা ক্যাপ্টেনই থাকেন। নেৃত্বত্বের আর্মব্যান্ড হাতে রয়েছে কি নেই, তাতে কিছু যায় আসে না।
ম্যাচে ব্যাট হাতে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ইনিংসের শুরুটা মন্দ করেনি। তবে পাওয়ার প্লে-র পরেই ধস নামে রোহিতদের ব্যাটিং লাইনআপে। একসময় মুম্বই ৬২ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বসে। তারা ৭৯ রানে ৬ উইকেট খোয়ায়। সেখান থেকে জয়দেব উনাদকাটকে সঙ্গে নিয়ে পালটা লড়াই শুরু করেন সূর্যকুমার যাদব।
৫টি চার ও ৬টি ছক্কার সাহায্যে ৩৭ বলে ৬৮ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে সূর্যকুমার মুম্বইকে দেড়শো রানের গণ্ডি পার করান। নাহলে একসময় মুম্বইয়ের পক্ষে ১০০ রানে পৌঁছনোও কঠিন মনে হচ্ছিল।
চাপের মুখে সূর্যকুমারের এমন দুর্দান্ত ইনিংসে মুগ্ধ কোহলিও। তাই মাঠ ছাড়ার সময় সূর্যকুমারের পিঠ চাপড়ে দিতে ভোলেননি বিরাট। কোহলি পিছন থেকে দৌড়ে এসে কুর্নিশ জানান সূর্যকুমারকে। আর যাই হোক, বিরাটের নেতৃত্বেই যে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে হাতেখড়ি হয়েছিল সূর্যকুমারের।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।