বাংলা নিউজ > ময়দান > T20 WC-এ পাকিস্তান ম্যাচ নয়, এশিয়া কাপেই ছন্দে ফিরেছিলেন কোহলি- দাবি মিসবার

T20 WC-এ পাকিস্তান ম্যাচ নয়, এশিয়া কাপেই ছন্দে ফিরেছিলেন কোহলি- দাবি মিসবার

মিসবা উল হক এবং বিরাট কোহলি।

গত বছর এশিয়া কাপে শতরানের খরা কাটিয়েছিলেন কোহলি। এর পরেই ২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অপরাজিত ৮২ রানের দুরন্ত ইনিংস খেলে ভারতকে এক অবিস্মরণীয় জয় এনে দিয়েছিলেন। মিসবা উল হক মনে করেন, কোহলির ফর্মে ফেরা শুরু হয়েছিল বিশ্বকাপে নয়, এশিয়া কাপের সময় থেকেই।

শুভব্রত মুখার্জি: দীর্ঘ দিন ফর্মে ছিলেন না বিরাট কোহলি। এর পর ২০২২ সালের মাঝামাঝি থেকে ধীরে ধীরে ফর্মে ফিরেছেন তিনি। ২০১৯ সালে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে গোলাপি বলের টেস্টে শেষ বার শতরান করার পরে প্রায় তিন বছর কোনও ফর্ম্যাটেই শতরান পাননি কোহলি। এর পর গত বছর এশিয়া কাপে সেই খরা কাটিয়ে শতরান করেছেন তিনি। এর পরেই গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে মেলবোর্নে অপরাজিত দুরন্ত ৮২ রানের ইনিংস খেলে ভারতকে এক অবিস্মরণীয় জয় এনে দিয়েছিলেন। প্রাক্তন পাক অধিনায়ক মিসবা উল হক মনে করেন, কোহলির ফর্মে ফেরা শুরু হয়েছিল বিশ্বকাপে নয়, তাঁর ফর্মে ফেরা শুরু হয়েছিল এশিয়া কাপের সময় থেকেই।

আরও পড়ুন: চেনা উইকেট, তাও কোনও ব্যাটার ধরে খেলতে পারল না, আক্ষেপ রোহিতের গলায়

স্পোর্টস ইয়ারিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বিরাটের ফর্মে ফেরার বিষয় নিয়ে বলতে গিয়ে মিসবা বলেছেন, ‘টেম্পারমেন্ট এবং নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস থাকলেই এই ধরনের ইনিংস (বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বিরাটের ইনিংস) খেলা যায়। অনেকেই মনে করে, ওই ইনিংসের মধ্যে দিয়েই ফর্মে ফিরেছিল বিরাট। তবে আমি মনে করি, এটা শুরু হয়েছিল এশিয়া কাপ থেকেই। ওই টুর্নামেন্টের মধ্যে দিয়েই ফর্মে ফিরেছিল বিরাট কোহলি।’

আরও পড়ুন: ঘরে টানা ২৬ ODI সিরিজে অপরাজেয় ভারতের ‘দৌড়’ থামাল অজিরা, ২০১৬-তে রুখেছিল ১৮-তে

তিনি আরও যোগ করেন, ‘নিজের প্রতি বিশ্বাসটা খুব প্রয়োজনীয়। বিশ্বমানের বোলিং আক্রমণের বিরুদ্ধে শেষ দুই ওভারে প্রায় ৪০ রান করে ম‌্যাচ জেতাটা মোটেও সহজ নয়। হার্দিক পাণ্ডিয়াও একজন বিশ্বমানের ক্রিকেটার। তবে সে দিন (টি-২০ বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচে) ও নিজের ফর্মে ছিল না। ও খুব জোড়ে বল মারতে গিয়ে সে দিন ব্যাটের মাঝেই বল লাগাতে পারেনি। সঠিক টেম্পারমেন্ট থাকলে এবং সঠিক ফোকাস থাকলে এবং আপনি সুযোগ পেলে, তবেই সেই সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে পারবেন। সে দিন কোহলি যেন নিজের পরিচিত জোনে ব্যাট করছিল। সে দিনের ম্যাচে বিরাট হ্যারিসকে ( রউফ) পরপর দু'টি ছয় মারে। ওই ওভারটাই ম্যাচের রং বদলে দেয়।’ বিশ্বকাপের ওই ম্যাচে ভারত ১৬০ রান তাড়া করছিল ম্যাচ জয়ের জন্য। রান তাড়া করতে গিয়ে একটা সময়ে ভারতের স্কোর ছিল ৪ উইকেটে ৩১ রান। সেখান থেকে হার্দিক পাণ্ডিয়াকে সঙ্গী করে প্রথমে ভারতকে ম্যাচে ফেরান কোহলি এবং পরবর্তীতে অপরাজিত থেকে ভারতের জয় সুনিশ্চিত করেন তিনি।

বন্ধ করুন