বড় প্রশ্নের সহজ উত্তর দিলেন ভারতের প্রাক্তন অফ স্পিনার হরভজন সিং। নেতা হিসাবে এগিয়ে কে? এই প্রশ্নের উত্তরে নিজের কেরিয়ারের উদাহরণ টানলেন ভাজ্জি। নিজেক দেখিয়ে বোঝালেন বাইশ গজে কে এগিয়ে। শুধু তাই নয় নিজের কথার মাধ্যমে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে বাইশ গজের জহুরিও বলতে চাইলেন তিনি। এর পাশাপাশি সৌরভের প্রতি নিজের কৃতজ্ঞতাও স্বীকার করলেন তিনি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে শুক্রবার বিদায় জানিয়েছেন হরভজন সিং। তার অবসর ঘোষণার পর হরভজন বলেন, সৌরভ তাঁকে সমর্থন করেছিলেন তার ক্যারিয়ারের প্রাথমিক পর্যায়ে, যেটা ছিল অতন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিজের কেরিয়ারের পরবর্তী পর্যায়ে তাকে সমর্থন করার জন্য তিনি এমএস ধোনিকে কৃতিত্ব দেন।
পঞ্জাবের অফ-স্পিনার, যিনি ১৯৯৮ সালে মহম্মদ আজহারউদ্দিনের নেতৃত্বে অভিষেক করেছিলেন, ২০০১ থেকে ২০০৫ সালের সময়কালে সৌরভের অধীনে হরভজন ১১৮টি ম্যাচ (ওডিআই এবং টেস্ট সহ) খেলেছেন এবং ২৯-এর কম গড়ে ২৭৩টি উইকেট নিয়েছিলেন। ২০০১ সালে, অনিল কুম্বলের অনুপস্থিতিতে হরভজন অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ৩ টেস্টে ৩২ উইকেট নিয়েছিলেন। এটি এমন একটি পারফরম্যান্স যা সম্ভবত ভারতের ঐতিহাসিক সিরিজ জয়ে চিরকাল মনে থাকবে। অন্যদিকে এমএস ধোনির অধীনে হরভজন সিং ২০০৭ টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতেছিলেন এবং ২০১১ বিশ্বকাপ জয়ী দলের অংশ ছিলেন। ধোনির অধীনে ভারতের হয়ে ১৩৩ ম্যাচে তিনি ২২৯ উইকেট নিয়েছিলেন।
হরভজন সিং-এর অবসর ঘোষণার পরে পিটিআই এর তরফ থেকে তার কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, তার নজরে অধিনায়ক হিসাবে এগিয়ে কে? ধোনি না সৌরভ? তাদের মধ্যে পার্থক্যটা কোথায়? এই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে হরভজন বলেন, ‘এটি আমার জন্য একটি সহজ উত্তর। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় আমার ক্যারিয়ারের সেই সময়ে আমার ট্যালেন্টকে চিনে ছিলেন, আমায় সেই সময় সুযোগ দিয়েছিলেন এবং সেই সময় আমার উপর বিশ্বাস রেখেছিলেন যখন আমি 'কিছুই' ছিলাম না। কিন্তু ধোনি যখন অধিনায়ক হন, আমি ‘কিছু’ ছিলাম। ‘এটাই হয়েছে। তাই এটা থেকেই আপনাকে তাদের পার্থক্যটা বুঝতে হবে।’
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।