ভারতীয় ক্রিকেটে শার্দুল এখন যেন ‘ক্রাইসিস ম্যান’। যখন দরকার পড়ে, জ্বলে ওঠেন। পঞ্চম দিনও ওভাল সেই শার্দূলময়। ভারতের ৩৬৮ রানের লক্ষ্য সামনে রেখে ইংল্যান্ড যেন ধীরে ধীরে রেকর্ডের গল্প শোনাচ্ছিল। ঠিক তখনই চমক দেখালেন লর্ড শার্দুল ঠাকুরের। রোরি বার্নস হাফসেঞ্চুরি করেই ফিরে গেলেন তাঁর বলে। এমনকি, ইংলিশ টিমের সবচেয়ে সফল ও ফর্মে থাকা ভয়ঙ্কর জো রুটের উইকেটের শিকার করলেন তিনি। দুরন্ত ডেলিভারিতে উইকেট নিয়ে নিলেন। চোটের কারণে সফরের প্রথম টেস্টের পর আর খেলতে পারেননি। তবে ম্যাচে ফিরেই শার্দুলঝলকের জন্য ওভাল পর্যন্ত হয়তো অপেক্ষা করতে হত না। দুই ইনিংস মিলিয়ে ওভালে শার্দুলের ঝুলিতে মোট ৩টি উইকেট এসেছে।
ম্যাচ জয়ের পরে বিরাট কোহলিও শার্দুল ঠাকুরের কৃতিত্বকে মেনে নিলেন। তিনি জানালেন, ম্যাচের প্রথম ইনিংসে শার্দুলের ৬০ রানের ইনিংস দলকে বাড়তি চাঙ্গা করেছিল। তার উপর শার্দুলের তিনটি উইকেট মানসিকভাবে অনেকটাই মোটিভেট করে দিয়েছিল। ইংলিশ বোলারদের তাণ্ডবে যখন রাহানে, পূজারা, বিরাটরা হিমশিম খাচ্ছেন, তখন বিনা চাপে রান করেছিলেন শার্দুল। ঠিক সময়ে উইকেট নিয়েছেন। আর তাতে ভর করেই সাফল্যের উড়ান দিয়েছে বিরাট কোহলির টিম ইন্ডিয়া। সেই কারণেই হয়তো নেটিজেনরা শার্দুলকে এখন ‘লর্ড’ নামে ডাকতে শুরু করেছেন। প্রথম ইনিংসে ৩৬ বলে ৫৭ রানের বিস্ফোরক ইনিংস খেলেছিলেন। দ্বিতীয় ইনিংসে আবার তাঁর নামের পাশে ৭২ বলে ৬০ রান যোগ হয়।
অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে সেই ঐতিহাসিক ব্রিসবেন টেস্ট যদি ঋষভ পন্তের নতুন শুরু হয়ে থাকে, তবে শার্দুলের ছিল অলরাউন্ডার হিসেবে উত্থানের গল্প। ২০১২-১৩ মরসুমে রঞ্জি অভিষেক। ওই বছর মুম্বই রঞ্জি চ্যাম্পিয়ন হলেও তেমন নজর কাড়তে পারেননি তিনি। কিন্তু পরের বছর ফিরে এসেছিলেন দুরন্ত ফর্ম নিয়ে। ২০১৪-১৫ মরসুম থেকে কেরিয়ার তুঙ্গে পৌঁছয়। ভারতীয় টিমের কাছকাছি পৌঁছে যাওয়া সেই সময় থেকেই। কয়েক বছরে নিজের ক্রিকেট কেরিয়ারের গতিমুখটাই পাল্টে দিয়েছেন শার্দূল। যতই সেঞ্চুরি করুন রোহিত শর্মা, ম্যাচের নায়ক কিন্তু শার্দুলই।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।