হুমকি, ব্ল্যাকমেল, পুলিশ, গ্রেফতার এক! যুবরাজের পরিবারে এ কেমন বিপদ?

ভারতীয় দলের তারকা ক্রিকেটার যুবরাজ সিং-এর পরিবার থেকে বেরিয়ে আসছে বড় একটি খবর। শোনা যাচ্ছে হুমকি পেয়েছেন সিক্সার কিং যুবরাজ সিংর মা শবনম সিং। এ ঘটনায় অভিযুক্ত মহিলাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

যুবরাজ সিং-এর পরিবারে এ কেমন বিপদ? (ছবি-টুইটার)

ভারতীয় দলের তারকা ক্রিকেটার যুবরাজ সিং-এর পরিবার থেকে বেরিয়ে আসছে বড় একটি খবর। শোনা যাচ্ছে হুমকি পেয়েছেন সিক্সার কিং যুবরাজ সিংর মা শবনম সিং। এ ঘটনায় অভিযুক্ত মহিলাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যুবরাজকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দিয়ে তাঁর মায়ের কাছে চল্লিশ লক্ষ টাকা দাবি করেছিল সে। এই বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হয় এবং পুলিশ অভিযুক্ত মহিলাকে ৫ লক্ষ টাকা সমেত গ্রেফতার করে।

এই বিষয়ে ডিএলএফ ফেজ-1 থানায় একটি এফআইআর নথিভুক্ত করা হয়েছিল। অভিযুক্ত মহিলার নাম হেমা কৌশিক ওরফে ডিম্পি। বলা হয়েছে যুবরাজের ছোট ভাই জোরাওয়ার সিং। এই অভিযুক্ত মহিলা হেমাকে তাঁর তত্ত্বাবধায়ক হিসাবে রাখা হয়েছিল। কিন্তু ২০ দিনের মধ্যে তাঁকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়।

পুলিশে দেওয়া অভিযোগে বলা হয়েছে যে যুবরাজ সিংর মা শবনম সিং, তাঁর ছোট ছেলে জোরওয়ারের দেখাশোনার জন্য একজন মহিলা ম্যানেজার/কেয়ারটেকার নিয়োগ করেছিলেন। কিন্তু তার খারাপ আচরণ ও কাজের কারণে তাঁকে চাকরি থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। চাকরি থেকে সরিয়ে দেওয়ার পর হেমা তাঁর পরিবার ও ছেলে জোরভারকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দেন। সেই সঙ্গে ভাবমূর্তি নষ্ট করার হুমকি দিয়ে ৪০ লক্ষ টাকার দাবি করেন।

মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) অভিযুক্ত মহিলাকে গ্রেফতার করা হয়। যুবরাজের বাড়ি ডিএলএফ ফেজ-১-এ। তার মা শবনম সিং থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছেন, যাতে তিনি বলেছিলেন যে ২০২২ সালে হেমাকে যুবরাজের ভাই জোরাওয়ারের তত্ত্বাবধায়ক হিসাবে নিয়োগ করা হয়েছিল। জোরাওয়ার গত কয়েক বছর ধরে বিষণ্নতার সঙ্গে লড়াই করছেন। শবনম জানান, ২০ দিন পরই হেমাকে চাকরি থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।

হেমাকে কাজ থেকে সরিয়ে দেওয়ার পিছনে কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, তিনি পেশাদার নন। সেই সঙ্গে জোরাওয়ার সিংকে নিজের ফাঁদে ফেলেন। শবনম সিং অভিযোগে বলেন, ২০২৩ সালের মে মাসে হেমা ওরফে ডিম্পি তাঁকে হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজে কল করা শুরু করেন। যেখানে সে হুমকি দিয়েছিল যে সে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে তাদের পরিবারের মানহানি করবে। এর বদলে ৪০ লক্ষ টাকা দাবি করেছিলেন হেমা।

১৯ জুলাই, হেমা কৌশিক একটি হোয়াটসঅ্যাপ বার্তায় হুমকি দিয়েছিলেন যে তিনি ২৩ জুলাই মামলা করবেন। এর পর পুরো পরিবারের মানহানি হবে। শবনম হেমাকে বলেন যে পরিমাণ বিশাল এবং এটি সংগ্রহের জন্য সময় চেয়েছিলেন। সোমবার পর্যন্ত ৫ লক্ষ টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও মঙ্গলবার তা পিছিয়ে দেওয়া হয়। মঙ্গলবার অভিযুক্ত মহিলা হেমা ৫ লক্ষ টাকা নিতে গেলে পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে। DLF ফেজ -1 থানায় অবৈধ পুনরুদ্ধারের ধারায় একটি এফআইআর নথিভুক্ত করা হয়েছে। পরে মহিলাটিকে জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।