বিভিন্ন গ্রহগুলি হয় খুব গরম, নয় তো খুব ঠান্ডা বা গ্যাসীয়। ফলে সেখানে প্রাণের সম্ভাবনা ক্ষীণ। কিন্তু সৌরজগতের চাঁদগুলি? বিভিন্ন গ্রহের এই উপগ্রহগুলি কিন্তু সত্যিই গবেষণার বিষয় বটে।
আমাদের গ্রহের শুধুমাত্র একটিই চাঁদ। কিন্তু শনি গ্রহের? শনির মোট ৮২টি উপগ্রহ রয়েছে। তাদের মধ্যে একটিতেই এখনও মনোনিবেশ করেছেন বিজ্ঞানীরা।
নজরে টাইটান
টাইটান হল শনির অসংখ্য চাঁদগুলির মধ্যে একটি। পৃথিবীর সঙ্গে এর বেশ কিছু মিল রয়েছে।
টাইটানের ঘন বায়ুমণ্ডল নিয়েই সবচেয়ে উত্সাহী গবেষকরা। এই ঘন বায়ুমণ্ডলের কারণে সেখানে পৃথিবীর মতো আবহাওয়া থাকার সম্ভাবনা প্রবল।
টাইটানের বিশাল বালির টিলাগুলিও লক্ষ্যণীয়। বালির টিলাগুলিতে পলল হিসাবে অজৈব সিলিকেট থাকা উচিত। কিন্তু টাইটানের বালির ব্যাপার স্যাপার কিছুটা আলাদা।
নাসা এমনকি এ বিষয়ে একটি ভিডিয়ো প্রকাশ করেছে। সেখানে টাইটানের কিছু অস্বাভাবিক বৈশিষ্ট্য ব্যাখ্যা করা হয়েছে :
নাসা বলছে, বৃষ্টি, নদী, হ্রদ এবং সমুদ্র-সহ গ্রহ হিসাবে সৌরজগতে পৃথিবীই একমাত্র নয়। শনির চাঁদ টাইটানেও সেগুলি রয়েছে। জলের নয়, তরল মিথেন এবং ইথেনের। এই পৃথিবীর মতোই তার পৃষ্ঠের নীচে গভীর তরল জলের একটি মহাসাগর লুকিয়ে আছে।
অতএব, সম্ভবত সুদূর ভবিষ্যতে, হয় তো উপনিবেশ হিসাবে মঙ্গলের পর শনির চাঁদ টাইটান সম্পর্কেও আরও চিন্তাভাবনা করবেন বিজ্ঞানীরা।
যাচ্ছে নাসার 'ড্রাগনফ্লাই' মহাকাশযান
ড্রাগনফ্লাই ২০২৬ সালে টাইটানের উদ্দেশ্যে রওনা হবে। ২০৩৪ সালে পৌঁছাবে।