পয়লা বৈশাখ দিয়ে শুরু হয়েছে বাঙালির পার্বনের পর্ব। এরপরই রয়েছে জ্যৈষ্ঠের জামাইষষ্ঠীর উৎসব। আর আদরের জামাইকে এই বিশেষ দিনে কোন নতুনত্বে ভরিয়ে দেওয়া যায় তার প্রস্তুতিতে ইতিমধ্যেই রয়েছেন বহু শাশুড়িরা! তবে তার আগে দেখে নেওয়া যাক ২০২২ সালের জামাইষষ্ঠী কবে পড়েছে, জেনে নেওয়া যাক এই উৎসব ঘিরে কিছু রীতিনীতি।
২০২২ সালের জামাইষষ্ঠী কবে পড়েছে?
আম, কাঁঠালের সমাহারে জামাইকে আদর করে আসন পেতে বসিয়ে, কুলোর বাতাস দিয়ে খাওয়ানোর চিরাচরিত রূপ বহু বাঙালি বাড়িতে এখনও দেখা যায়। সাবেকিয়ানা ও ঐতিহ্যের এই উৎসব ২০২২ সালে ৫ জুন পড়ছে। ৫ জুন অর্থাৎ বাংলা সাল অনুযায়ী ২১ জ্যৈষ্ঠ রবিবার এই বিশেষ উৎসব পালিত হতে চলেছে। ফলে যে শাশুড়িরা জামাইষষ্ঠীর অপেক্ষায় রয়েছেন, তাঁদের প্রস্তুতির মাঝে রয়েছে মাত্র ১ সপ্তাহ সময়। গর্ভবতী মহিলাদের জন্য দারুর উপকারি নারকেলের জল! জানুন গুণাগুণ
জামাইষষ্ঠী কখন পড়ছে?
৪ জুন রাত ১.০৭ মিনিট থেকে পড়ছে জামাইষষ্ঠী। ৫ জুন রাত ২.২২ মিনিট পর্যন্ত থাকছে জামাইষষ্ঠীর তিথি। শুধু জামাইকেই নয়, সন্তানসম প্রত্যেক স্নেহের মানুষের জন্যই এই তিথিতে মাতৃ স্থানীয়রা উপবাস রেখে আসেন। সন্তানের মঙ্গল কামনায় চলে ষষ্ঠীর ব্রত পালন করে থাকেন। ফ্রিজে থাকা রসগোল্লা দিয়ে নিমেষে এই 'চাট' বানিয়ে ফেলুন বাড়িতে ! মন মজবে অতিথির
জামাইষষ্ঠীর নিয়ম
সাধারণত মরশুমি ফল দিয়ে জামাই আদর করা হয়। আম,জাম, কাঁঠালের মরশুমে জামাইকে ফল দিয়ে আদর যত্ন করার পাশাপাশি ভাতপাতে একাধিক লোভনীয় পদও রাখার রীতি রয়েছে। বহু বাড়িতেই জামাইকে এই দিনে বাসন্তি পোলাও এবং পাঁঠার মাংস খাইয়ে আদর যত্ন করা হয়। সঙ্গে চলে তাল পাতার পাখার হাওয়া। জামাইকে দেওয়া হয় নতুন বস্ত্র, উপহার। তাঁকে আসনে বসিয়ে খাওয়ানোর রীতি রয়েছে। সঙ্গে মঙ্গলদীপও জ্বালানো হয়।
পুজোর নিয়ম-
সকালে স্নান করে শুদ্ধ বস্ত্র পরে শাশুড়িরা জামাইয়ের জন্য পালন করেন জামাইষষ্ঠী। জলভরতি ঘট স্থাপন করে তাতে আম পাতা ও তালপাতা রাখার নিয়ম রয়েছে। এরপর তাতে ১০৮ টি দুর্বা বেঁধে রাখতে হয়। এরপর হলুদ, কাঁঠার পাতা, সুতো, বেলপাতা একসঙ্গে গিঁট বেঁধে মা ষষ্ঠীর পুজোয় অর্পণ করার নিয়ম রয়েছে। পরবর্তীতে পুজোর প্রসাদ জামাইকে দেওয়ার পর লাগিয়ে দিতে হবে হলুদের তিলক বা ফোঁটা। এরপর শুরু হবে খাওয়ার পর্ব।