আজ নাগ পঞ্চমীর উত্সব পালিত হচ্ছে। আজ দিনটিও সোমবার। এই দিনটি সর্প দেবতাকে উৎসর্গ করা হয়। সাপ পুজো আমাদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের একটি অংশ।
কালসর্প দোষ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য এই দিনটিকে শ্রেষ্ঠ বলে মনে করা হয়। শাস্ত্র অনুসারে এমন কিছু কাজ রয়েছে যা নাগ পঞ্চমীতে করা উচিত নয়, তা না হলে আগামী সাত প্রজন্মের জন্য দায়ী হবেন। আসুন জেনে নেই নাগ পঞ্চমীর শুভ সময় ও এই পুজোর নিয়ম।
ভবিষ্যপুরাণ অনুসারে, সাপের কামড়ে যদি কারও মৃত্যু হয়, তবে তার জন্য কোনও পরিত্রাণ নেই। এমন আত্মারা মোক্ষ পায় না। এমন অবস্থায় নাগ পঞ্চমীতে সাপের দেবতার পুজো করলে সাপের কামড়ের ভয় থাকে না, সেই সঙ্গে যাদের অকাল মৃত্যু হয়েছে, তারা মোক্ষ লাভ করে।
ব্রহ্মপুরাণ অনুসারে, ভগবান ব্রহ্মা নাগ পঞ্চমীর দিনে সাপকে পুজো করার বর দিয়েছিলেন। এই দিনে অনন্ত, বাসুকি, তক্ষক, কর্কোটক ও পিঙ্গল নাগের পুজোর রীতি রয়েছে। এদের পুজো করলে রাহু-কেতু জন্মগত দোষ ও কালসর্প দোষ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
নাগ পঞ্চমীতে এই কাজগুলি করবেন না
হিন্দু ধর্মে সাপকে দেবতা হিসাবে বিবেচনা করা হয়। যদিও সাপের কখনও ক্ষতি করা উচিত নয়, তবে বিশেষ করে নাগ পঞ্চমীর দিনে সাপকে আঘাত করবেন না। না হলে এতে করে বংশ পরম্পরায় আগামী সাতজন্মের জন্য দোষ পায়।
এই দিনে কোনও কাজের জন্য জমি খনন করবেন না। এতে করে মাটিতে বা মাটিতে সাপের গর্ত বা ঘর ভেঙ্গে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। কথিত আছে, সাপ ক্ষতিগ্রস্থ হলে পরিবার ধ্বংস হয়ে যায়। শিশুরা সুখ পায় না।
পুজোয় এই ভুল করবেন না- এই দিনে জীবন্ত সাপকে দুধ খাওয়াতে যাবেন না। তাই শুধুমাত্র তাদের প্রতিমায় দুধ নিবেদন করুন।
ধারালো বস্তু দিয়ে কাজ করবেন না- নাগপঞ্চমীতে ছুরি, সূঁচের মতো ধারালো বস্তু ব্যবহার করা অশুভ বলে মনে করা হয়। এদিন সেলাই, সূচিকর্ম করা হয় না।
তাওয়া কেন ব্যবহার করা হয় না- নাগ পঞ্চমীতে লোহার কড়াই ও প্যানে খাবার রান্না করবেন না। বিশ্বাস অনুসারে, রুটি তৈরির জন্য ব্যবহৃত লোহার কড়াইকে সাপের ফণা বলে মনে করা হয়।