সম্প্রতি মাটিগাড়া-নকশালবাড়ির বিধায়ক আনন্দ বর্মণকে জেলা সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে অরুণ মণ্ডলকে জেলা সভাপতির দায়িত্ব দিয়েছে বিজেপি। তারপরই গণবিদ্রোহ দলে। একসঙ্গে ৩০ বিজেপি নেতা ও একাধিক মণ্ডল সভাপতি পদত্যাগ করলেন। গেরুয়া শিবির সূত্রে খবর এরা প্রত্যেকেই আনন্দ বর্মণ অনুগামী।
প্রসঙ্গত, কিছুদিন ধরেই নানা কারণে বিজেপির দুই বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ ও আনন্দ বর্মণের মধ্যে সম্পর্ক কার্যত তলানিতে এসে ঠেকেছিল। শঙ্কর ঘোষ রাজ্য সম্পাদক হয়ে যাওয়ায় ফলে জেলা সভাপতি ও বিধায়ক আনন্দ বর্মণের সঙ্গে তাঁর তিক্ততা আরও বাড়ে। এরই সূত্র ধরে তিক্ততা বাড়ে সাংসদ রাজু বিস্তার সঙ্গেও। এর মধ্যে আনন্দ বর্মণকে জেলা সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। তার জায়গায় দায়িত্ব পান রাজু ও শঙ্করের অনুগামী বলে পরিচিত অরুণ মণ্ডল। ফলে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়।
এই বিদ্রোহীদের তালিকায় একাধিক মণ্ডলের সভাপতিরা ছাড়াও, জেলা মহিলা মোর্চার সভানেত্রী এবং জেলা কমিটির একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদাধিকারীও রয়েছেন। তাঁদের বক্তব্য, 'আমরা দল ছাড়েনি পদত্যাগ করেছি। অন্য কোন দলে আমরা যাব না'। ক্ষমতাসীনদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতেই এই গণপ্রতিবাদ বলে জানিয়েছেন পদত্যাগী বিজেপি নেতারা।
(পড়তে পারেন। নাবালিকার খুনির ফাঁসির দাবিতে VHP-র ডাকা বনধে শিলিগুড়িতে খুলল না দোকানপাট)
(পড়তে পারেন। ‘পরবর্তী পঞ্চায়েত নির্বাচন পর্যন্ত আমরা মামলা শুনব!’ ক্ষোভপ্রকাশ প্রধান বিচারপতির)
বিদায়ী জেলা কমিটির সম্পাদক সৌরভ সরকার বলেন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, 'এটা আমাদের সাংগঠিক বিষয়। শুনছি পনেরো জন পদত্যাগ করেছেন। রদবদল নিয়ে ক্ষোভেই তাঁরা হয়তো পদত্যাগ করেছেন। তাঁরা নিজের মত অনুযায়ী পদত্যাগ করেছেন। তবে দল ছাড়ছে না সে ব্যাপারে নিশ্চিত।'
তবে লোকসভা ভোটের আগে এই পদত্যাগকে সহজ ভাবছে দেখছেন না দলের অনেকেই। শঙ্কর ঘোষ এবং আনন্দ বর্মনের মধ্যে বিরোধ জারি থাকলে আগামীদিনের দলের কাছে তা সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়াবে। লোকসভা ভোটের আগে কতটা সক্রিয় থাকবেন তাঁরা তা নিয়ে সংশয় থেকে যাচ্ছে। এ নিয়ে রাজ্য নেতৃত্বে কী পদক্ষেপ নেয় সেদিকে তাকিয়ে রয়েছেন জেলা গেরুয়া শিবির।