পূর্ব বর্ধমানে তৃণমূলের জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়কে না জানিয়েই অনুব্রত মণ্ডল কাটোয়া শহর দেখাশোনার দায়িত্ব দিলেন তাঁর এক অনুগামীকে। যা নিয়ে দলীয় অন্তর্দ্বন্দ্বের আভাস মিলেছে। এই নিয়োগ সম্পর্কে জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথের স্পষ্ট বক্তব্য, কাটোয়া শহরের দায়িত্বে ইতিমধ্যেই একজন রয়েছেন। এবং নয়া 'নিয়োগ' নিয়ে যে তাঁর অনুব্রতর সঙ্গে কথা হয়নি, তাও স্পষ্ট করে দেন তিনি। এদিকে 'নিয়োগ' পাওয়া জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অরিন্দম বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, অনুব্রত মণ্ডলের কথা অনুযায়ী তিনি কাটোয়া শহরে দলের কাজ শুরু করবেন।
উল্লেখ্য, বীরভূমের জেলা সভাপতি হওয়ার পাশাপাশি অনুব্রতকে কেতুগ্রাম, মঙ্গলকোট ও আউশগ্রামের পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে দলের তরফে। এই বিদানসভা আসনগুলি বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত বলেই এই দায়িত্বে রয়েছেন অনুব্রত। যদিও কাটোয়ায় অনুব্রতর কোনও 'দায়িত্ব' নেই।
রবিবার মঙ্গলকোটের ক্ষীরগ্রামে গিয়ে বিজেপি থেকে তৃণমূলে যোগদান করা কর্মীদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন অনুব্রত। সেই মঞ্চে দাঁড়িয়েই জেলার সাধারণ সম্পাদক অরিন্দমকে মঙ্গলকোট, কেতুগ্রাম ও কাটোয়া শহর দেখাশোনার দায়িত্ব দেন অনুব্রত। এদিকে কাটোয়ার শহর সভাপতি পদে ইতিমধ্যেই রয়েছেন শুভ্রা রায়। এই পরিস্থিতিতে কাটোয়া শহরের দায়িত্ব অরিন্দমকে দেওয়া নিয়ে দলের মধ্যে চাপানউতোর শুরু হয়েছে।
এদিকে এদিন মঙ্গলকোটে ত্রিপুরা নিয়েও মুখ খোলেন অনুব্রত। তাঁর কথায়, দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বললেই উত্তরপূর্বের রাজ্যে গিয়ে তিনি কর্নার থেকে গোল করে খেলা শুরু করে দেবেন। পাশাপাশি তাঁর বক্তব্য, ভোটের আগে বিজেপি নেতৃত্ব যেভাবে মিথ্যা কথা বলেছে, তাতে কোনও মানুষ আর ওই দলে থাকতে চাইছে না। সেজন্যই গেরুয়া শিবির ছেড়ে দলে দলে লোক তৃণমূলে ফিরছেন। তবে যে নিয়োগ নিয়ে এত বিতর্ক, সেই প্রসঙ্গে কোনও কথা বলেননি তিনি। চুপ রয়েছে অপর পক্ষও।