খাতায় কলমে বোলপুরের শিবশম্ভু চালকলের মালিক অনুব্রত মণ্ডলের ভাগ্নে রাজা ঘোষের মা শিবানী ঘোষ। তবে সংবাদমাধ্যমকে রাজা স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন যে এই চালকলের মালিক তিনি নন। কে এই চালকলের মালিক, তা তাঁর জানা নেই বলেও জানিয়ে দেন রাজা। উল্লেখ্য, আজ সকালেই সিবিআই তদন্তকারীরা শিবশম্ভু চালকলে অভিযান চালান। (আরও পড়ুন: গরু পাচারকাণ্ডে ১৮ ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে নজর CBI-এর, কোটি কোটির রহস্য লুকিয়ে এখানে)
জানা গিয়েছে, বোলপুরের বাঁধগড়া এলাকায় প্রায় ১২ বিঘা জমির উপর তৈরি রয়েছে ওই চালকলটি। সম্পর্কে অনুব্রত মণ্ডলের দিদি ও জামাইবাবু এই রাইসমিলের মালিক বলে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে অনুব্রত মণ্ডলের ভাগ্নে রাজা ঘোষের নামও উঠছে এই রাইসমিলকে ঘিরে। তবে রাজা জানিয়ে দেন তিনি এর কিছুই জানেন না। রাজা বলেন, ‘মা যে ওই চালকলের মালিক, তা আমি প্রথম শুনছি। ওই চালকলের মালিকানা সংক্রান্ত বিষয়ে আমার কাছে কোনও তথ্য নেই।’ এদিকে রাজা জানান, বাবা বা বা পরিবারের সঙ্গে গত দু’বছর ধরে কোনও যোগাযোগ নেই তাঁর।
আরও পড়ুন: ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বার পেটে লাথি, অভিযোগ তৃণমূল বিধায়ক-কাউন্সিলরের লোকের বিরুদ্ধে
রাজা ঘোষ বলেন, ‘আমি জীবনে কোনও দিন শিবশম্ভু মিলে পা রাখিনি। ওখানে কী আছে, তা আমার জানা নেই। আমি একা অনুব্রত মণ্ডলের ভাগ্নে নই। আরও পাঁচ ভাগ্নে আছে। আমার মা বলুন, বা মামা বলুন, তাঁদের আত্মীয় হওয়াটা কি আমার অপরাধ?’
আরও পড়ুন: স্বাধীনতা দিবসে চটুল নাচের আয়োজন, উদ্দাম নাচ তৃণমূল নেতার, ওড়ালেন টাকা
এদিকে এদিন বোলপুরে অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের ফ্ল্যাটে হানা দেয় সিবিআই। সেই ফ্ল্যাটে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের এক আধিকারিককেও নিয়ে আসা হয়। সায়গলের মাধ্যমেই অনুব্রতর কাছে টাকা আসত বলে অভিযোগ। পাশাপাশি অনুব্রত ও গরু পাচারকারীদের মধ্যে যোগসূত্রের অন্যতম মাধ্যম ছিলেন এই সায়গল। তার সম্পত্তির বহর দেখে হতবাক তদন্তকারীরাও। নামে বেনামে আর কোথায় সম্পত্তি রয়েছে সেটাও জানার চেষ্টা করছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিকরা। সেক্ষেত্রে সিবিআই আধিকারিকরা এবার সেই ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালাচ্ছেন।