গরিব মাছ বিক্রেতা। নিজেরই ভালো করে সংসার চলে না। আর সেই মাছ বিক্রেতাই তিন বছর আগে কুড়িয়ে পেয়েছিলেন ৭০ হাজার টাকা। না, সেই টাকা খরচ করেননি তিনি। তোয়ালে জড়িয়ে তুলে নেননি তিনি। সেই টাকা সযত্নে নিজের কাছে রেখে দিয়েছিলেন তিনি। উদ্দেশ্য একটাই টাকার মালিকের খোঁজ পেলে সেই টাকা তুলে দেবেন তিনি। আর দীর্ঘ তিন বছর পরে সেই টাকার মালিকের খোঁজ পেলেন মাছ বিক্রেতা মহম্মদ আবু কাশেম গাজি। একেবারে পুলিশের সামনে সেই টাকা ফেরৎ দিলেন মাছ বিক্রেতা। সততার এক অপূর্ব নজির তৈরি করলেন মাছ বিক্রেতা। বসিরহাটের ঘটনা।
বছর তিনেক আগের ঘটনা। সেদিনও বসিরহাট পুরাতন বাজারে মাছ বিক্রি করছিলেন কাশেম গাজি। বাজারে ভালোই ভিড়। এমন সময় দেখেন একটি ব্যাগ পড়ে রয়েছে। কার ব্যাগ কে জানে? ব্যাগটিকে তুলে রেখেছিলেন তিনি। কেউ হয়তো ভুল করে ফেলে গিয়েছেন। কিন্তু কেউ আসে না ব্যাগের খোঁজে। এদিকে ব্যাগ খুলে হতবাক মাছ বিক্রেতা। এতো টাকার বাণ্ডিল!
এরপর বাড়ির আলমারিতে ব্যাগটি সযত্নে রেখে দিয়েছিলেন তিনি। এরপর আর ওই ব্যাগে হাত দেননি তিনি। কী মনে করে তিন বছর পরে তিনি ব্যাগটি খুলে দেখেন, তার ভেতর একটি ক্যাশমেমো রয়েছে। আর সেই ক্যাশমেমোর ঠিকানা ধরে তিনি হাজির হন একটি স্টেশনারি দোকানে। আর সেই দোকানের মালিক চম্পক নন্দীরই ব্যাগ এটি। বসিরহাটে দন্ডিরহাটের নগেন্দ্রকুমার উচ্চ শিক্ষায়তনের শিক্ষকও তিনি। এমন সততা দেখে হতবাক তিনি। হতবাক পুলিশ কর্তারাও।
আর কাশেম বলেন, করোনার সময় খুব অভাব ছিল। ভয় লাগত ব্যাগটাকে রক্ষা করতে পারব তো? এতদিনে খুব স্বস্তি লাগছে।