গত ২৪ ঘণ্টায় জলপাইগুড়ি ও তার আশেপাশের এলাকায় ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। ভারী বৃষ্টিপাতের জেরে শহরের বিভিন্ন এলাকায় জল জমে গিয়েছে। আশেপাশের গ্রামও অতিবৃষ্টির ফলে প্লাবিত। পরিস্থিতিকে নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্লক ও পুর প্রশাসনের তরফে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে কাজ শুরু হয়েছে।
জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সকাল থেকে ব্যাপক বৃষ্টিপাত হয়েছে জলপাইগুড়ি শহর ও আশেপাশের এলাকায়। সকাল ১০টা পর্যন্ত বৃষ্টি হয়েছে ২০৮ মিলিমিটার। জলপাইগুড়ি শহরের ২৫টি ওয়ার্ডের রাস্তাঘাটের এমন অবস্থা যেন তা নদীর আকার নিয়েছে। আশেপাশের ব্লক এলাকার বহু গ্রাম প্লাবিত হয়ে গিয়েছে। গ্রামের মধ্যে নদীর স্রোত বইছে। বাহাদুর অঞ্চলের বাসুয়া পাড়া গ্রামের মধ্য দিয়ে নদীর জল বইছে। বহু কৃষিজমি প্লাবিত হয়ে গিয়েছে। এদিন সকাল থেকে বৃষ্টির প্রকোপ এতটাই বেশি ছিল যে বহু মানুষ জলবন্দি হয়ে পড়েছেন। প্রয়োজন ছাড়া কেউ রাস্তায় বের হচ্ছে না। রাতভোর বৃষ্টির জেরে করলা নদীর জলস্তর বেড়ে গিয়েছে। এই জলস্তর বেড়ে যাওয়ায় পরেশ মিত্র কলোনি, নীচ মাঠ এলাকায় জল ঢুকে গিয়েছে।
এদিন সকালে তিস্তা ব্যারেজ থেকে ১২৬৪.০৭ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। এখন তিস্তা নদীর অসংরক্ষিত এলাকায় হলুদ সতর্কতা জারি রয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত নদীর পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। জানা যাচ্ছে, জলপাইগুড়ি শহরের বিভিন্ন জায়গায় জম জমে রয়েছে। স্টেশন রোড, দুই নম্বর ঘুমটি, রেস কোর্স পাড়া, মোহন্ত পাড়া, মহামায়া পাড়া, কদমতলা এলাকায় জল দাঁড়িয়ে গিয়েছে। এলাকার এক বাসিন্দা জানান, ‘এক দিনের বৃষ্টিতেই এই অবস্থা। স্থানীয় প্রশাসনিক কর্তাদের বারবার জানানো হয়েছে। কিন্তু কোনও কাজই হয়নি। দেখছি, দেখব, এই আশ্বাসই দেওয়া হয়েছে।’