নিজের কোলের সন্তানকে কোনও মা নদীতে ছুঁড়ে ফেলে দিতে পারেন! অবাক লাগলেও এমন ঘটনাই ঘটেছে বাংলায়। আর এখন এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছে। কেন এমন কাজ করলেন ওই মহিলা? তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। যদিও এই কাজ করার পর তিনি ভেঙে পড়েছেন। কিন্তু তাঁর জীবনের স্রোত প্রতিকূলে বইছে বলেই এমন কাজ করেছেন বলে পুলিশকে জানিয়েছেন। যা নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে।
ঠিক কী ঘটেছে মুর্শিদাবাদে? স্থানীয় সূত্রে খবর, আজ সোমবার ভাগীরথী সেতুর উপর থেকে দেড় বছরের শিশু সন্তানকে গঙ্গায় ছুঁড়ে ফেলে দেন মা। মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জ থেকে জঙ্গিপুর যাওয়ার পথে এমন কাজই করেছেন শিশুটির মা। শিশুটির কোনও অপরাধ ছিল না। যদিও স্থানীয় কয়েকজন যুবক গঙ্গায় স্নান করার সময় দেখতে পান একটি শিশু জলে পড়ল। তখন তাকে বাঁচাতে ঝাঁপিয়ে পড়েন এবং শিশুটিকে উদ্ধার করেন। সুস্থ করার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আর কী জানা যাচ্ছে? আজ সকালে ভাগীরথী সেতু থেকে নিজের সন্তানকে ছুঁড়ে গঙ্গায় ফেলে দেন শিশুটির মা। এই ঘটনা দেখতে পেয়ে কয়েকজন যুবক গঙ্গায় ঝাঁপ দেন। আর শিশুটিকে উদ্ধার করেন। আর তড়িঘড়ি শিশুকে জঙ্গিপুর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতাল সূত্রে খবর, শিশুর মাথায় চোট লেগেছে। এই ঘটনার পর গ্রেফতার করা হয়েছে শিশুর মাকে। জল থেকে কান্নার শব্দ পেয়েই গঙ্গায় ঝাঁপ দেন যুবকরা। আর বাচ্চাটাকে উদ্ধার করেন তাঁরা।
পুলিশ কী তথ্য পেয়েছে? পুলিশ সূত্রে খবর, এই ঘটনায় ঘটনাস্থলে পৌঁছয় রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ। শিশুর মাকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। পুলিশের জেরায় তিনি জানান, অনেক অত্যাচার সহ্য করেছি স্যার। আর পারছিলাম না। তাই এই রাস্তা ছাড়া বিকল্প ছিল না। যদিও তাঁকে জানানো হয়েছে শিশুটিকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে। তবে ওই মহিলার বয়ান থেকে পুলিশের অনুমান, পারিবারিক বিবাদের জেরে এই পথ বেছে নিয়েছিলেন শিশুটির মা। জঙ্গিপুর পুলিশ জেলার সুপার ভিজি সতীশ বলেন, ‘শিশুটিকে সুস্থ করা প্রথম কাজ। মাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বিষয়টি বোঝার চেষ্টা করা হচ্ছে।’
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup