পাহাড়, সমুদ্র তো আছে। উত্তরবঙ্গের জঙ্গলের প্রতি অনেকেরই যথেষ্ট টান থাকে। সেই পায়ে চলা পথ। নিঝুম জঙ্গলে ঝিঁঝি পোকার ডাক। বাফার এরিয়া, কোর এরিয়ার কাছে ঘুরে বেড়ানো। ভাগ্য প্রসন্ন থাকলে ওদের দেখা পেলেও পেতে পারেন। বাইসন, হাতি কিংবা পেখম মেলা ময়ূর। তবে জঙ্গলের আলাদা একটা ব্যাকরণ আছে। সেটা মেনে চলার ব্যাপারে বার বারই বনদফতরের তরফ থেকে পর্যটকদের অনুরোধ করা হয়। কোনওভাবেই বন্য জীবজন্তুদের বিরক্ত করা ঠিক নয়। এমন কিছু করা উচিত নয় যাতে বনের স্বাভাবিক পরিবেশে বিঘ্ন ঘটে।
গরুমারা, জলদাপাড়ার জঙ্গলের টানে প্রতি বছর প্রচুর পর্যটক উত্তরবঙ্গে যান। হাতি সাফারি, জঙ্গল সাফারির জন্য উৎসাহও থাকে তুঙ্গে। তবে আগে থেকে সময় জেনে পরিকল্পনা করে যাওয়াটাই ভালো। কারণ জঙ্গল সাফারির নির্দিষ্ট সময় থাকে। সেটা না জানলে সব প্ল্যান মাঠে মারা যাবে।
তবে বছরের একটি নির্দিষ্ট সময়পর্বে জঙ্গল বন্ধ করে দেওয়া হয়। সেই সময়টা জীবজন্তুদের প্রজননকাল হিসাবে ধরা হয়। সেক্ষেত্রে জঙ্গল যাঁদের ভালো লাগে তাঁদের ১৫ই জুনের আগে যাওয়াটাই ভালো। কারণ ডুয়ার্সের জঙ্গলে গেলে সাফারির মজাই আলাদা। কিন্তু ১৫ই জুনের পরেই বন্ধ হয়ে যাবে উত্তরের জঙ্গল। জীবজন্তুদের প্রজননের জন্য ১৫ই জুন থেকে ১৫ই সেপ্টেম্বর পর্যন্ত উত্তরবঙ্গে জঙ্গল বন্ধ থাকবে। তার আগেই ঘোরার প্ল্যান করে নিতে পারেন।