জরুরি ভিত্তিতে সুকান্ত মজুমদার, শুভেন্দু অধিকারীদের দিল্লিতে তলব করল বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। গেরুয়া শিবির সূত্রে খবর, কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি নেতাদের বৈঠক হবে। কী কী বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে, তা নিয়ে গেরুয়া শিবিরের তরফে মুখ খোলা না হলেও সূত্রের খবর, পঞ্চায়েত ভোটের প্রেক্ষিতে সেই মেগা বৈঠকে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। বঙ্গ বিজেপির সাংগঠনিক রদবদল করাও হতে পারে বলে জল্পনা তৈরি হয়েছে। সেইসঙ্গে রাজনৈতিক মহলের ধারণা, জরুরি ভিত্তিতে যেহেতু তলব করা হয়েছে, তাই সাম্প্রতিক কোনও ঘটনা প্রসঙ্গে কোনও কৌশল নির্ধারণ হতে পারে। সেক্ষেত্রে মণিপুরের পৈশাচিক ঘটনার পর যেভাবে বিজেপি সরকারের উপর চাপ তৈরি হয়েছে এবং তারপর বিজেপি যে পালটা পশ্চিমবঙ্গে ‘মহিলা নির্যাতন’ নিয়ে একেবারে আক্রমণাত্মক ছন্দে মাঠে নেমেছে, সেই বিষয় নিয়ে বৈঠকে কোনও আলোচনা হয় কিনা, সেদিকেও নজর থাকবে রাজনৈতিক মহলের। আবার একুশে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়রা যে আক্রমণ শানিয়েছেন, সেটার পালটা হিসেবে কোনও কৌশল নেওয়া হতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট মহলের ধারণা।
আরও পড়ুন: BJP নেতাদের বাড়ি ঘেরাও, মমতা - অভিষেকের বিরুদ্ধে FIR করলেন শুভেন্দু
বৈঠকের আলোচ্য বিষয়বস্তু নিয়ে মুখে পুরোপুরি কুলুপ এঁটেছেং রাজ্য বিজেপির নেতারা। শনিবার নিউ টাউনে অনন্ত মহারাজের সঙ্গে বিজেপি বিধায়কদের সাক্ষাতের পরে রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্তের পাশে দাঁড়িয়ে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু জানান, সোমবার দলীয় কাজে সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) অমিতাভ চক্রবর্তী এবং তাঁকে তলব করা হয়েছে। সেজন্য দিল্লিতে যাবেন। সেখানে রাজ্য বিজেপির সভাপতিও থাকবেন। সেই বৈঠকে যা নির্দেশ দেওয়া হবে এবং কর্মসূচি নির্ধারণ করা হবে, সেইমতো কাজ করা হবে বলে জানিয়েছেন শুভেন্দু। যে তিনজন আজ রাতেই দিল্লিতে উড়ে যাবেন।
আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সুকান্তর তালিকা থেকে গায়েব পাঁচলায় নির্যাতনের ঘটনা
তবে শুধু ওই তিনজন নন, বিজেপি সূত্রে খবর, সাংগঠনিক দায়িত্বপ্রাপ্ত বিএল সন্তোষ এবং রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত সুনীল বনশলরা হাজির থাকবেন। বিজেপির একাধিক সাংসদও বৈঠকে হাজির থাকতে পারেন। যাঁরা ইতিমধ্যে সংসদের বাদল অধিবেশনের কারণে দিল্লিতেই আছেন। এমনকী রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (আরএসএস) নেতারাও বৈঠকে যোগ দিতে পারেন বলে একটি মহলে জল্পনা তৈরি হয়েছে। রাজনৈতিক মহলের মতে, সেটা যদি হয়, তাহলে লোকসভা ভোটের কৌশল নিয়েও বৈঠকে দীর্ঘ আলোচনা হতে পারে। সেইসঙ্গে একটি মহলের দাবি, ১০০ দিনের কাজের টাকা আটকে দেওয়ার অভিযোগে আগামী ৫ অগস্ট পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি নেতাদের বাড়ি ঘেরাওয়ের (প্রতীকী ঘেরাও) ডাক দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস, তা নিয়েও কৌশল নির্ধারণ করা হতে পারে।