বিজেপি কর্মীর গ্রেফতারিতে ধুন্ধুমার মারিশদা থানায়। গতকাল বিজেপি কর্মী রবীন মান্নাকে তাঁর বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। রবীনকে গ্রেফতার করতে সাদা পোশাকের পুলিশকর্মীরা গিয়েছিলেন তাঁর বাড়ি। এরপরই থানায় হাজির হন নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। বিজেপি কর্মীকে গ্রেফতারির মেমো দেখতে চান শুভেন্দু। এই নিয়ে শুরু হয় বচসা। শুভেন্দু দাবি করেন, ধৃত রবীনের স্ত্রীকে দিয়ে পুলিশের বিরুদ্ধেই অপহরণের মামলা রুজু করাবেন তিনি। পাশাপাশি সোমবার সকাল ছ'টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত খেজুরি থানা এলাকায় বনধের ডাক দিয়েছেন শুভেন্দু। এর আগে গতরাতেই প্রায় আধঘণ্টা থানায় ধরনা দিয়ে বসেছিলেন শুভেন্দু নিজে। (আরও পড়ুন: বকেয়া ডিএ, অষ্টম বেতন কমিশন থেকে OPS-এর দাবি, ৫০ বছর পর ধর্মঘটে থমকে যাবে রেল?)
এই নিয়ে শুভেন্দু বলেন, 'রবীন মান্নাকে পুলিশ অপহরণ করেছে। রবীন মান্নাকে লকআপে রাখা হয়েছে কি না, পুলিশের কাছে তা জানতে চাই। তাঁর নামে অ্যারেস্ট মেমো দেখতে চাই। কিন্তু পুলিশ আমাকে তা দেখাতে অস্বীকার করে। এর বিরুদ্ধে আমরা আদালতে যাচ্ছি। এছাড়া সোমবার সকাল ছ'টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত খেজুরি এলাকায় আমরা বনধের ডাক দিলাম। জরুরি পরিষেবা ছাড়া বাজারহাট সব বন্ধ থাকবে সেদিন। ২৯ তারিখ কলকাতায় কর্মসূচি সফল হওয়ার পর ৩০ তারিখ ১১টার পর থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত খেজুরি থানায় অবস্থান বিক্ষোভ চলবে।'
আরও পড়ুন: আচমকাই ইউপিআই আইডি অচল হবে বহু মানুষের, পেমেন্ট অ্যাপগুলিকে নির্দেশ NPCI-এর
ঠিক কী হয়েছে? অভিযোগ, রবীন মান্নাকে তৃণমূলে কর্মী-সমর্থকরা মারধর করে। এরপর বিকেল ৪টে নাগাদ নাকি সাদা পোশাকের পুলিশ রবীনের বাড়িতে যায় এবং তাঁকে তুলে নিয়ে থানায় আনে। কিন্তু পরিবারের সদস্যরা খেজুরি থানায় গেলে তাদের বলা হয় রবীন মান্না সেখানে নেই। এরপর তাঁর পরিবার খেজুরি থানা থেকে হেড়িয়া পুলিশ ফাঁড়ি-সহ বিভিন্ন থানায় রবীন মান্নার খোঁজ নিতে শুরু করেন। কিন্তু রবীন মান্নাকে কোনও জায়গায় খুঁজে পাওয়া যায়নি বলে অভিযোগ। পরে জানা যায়, মারিশদা থানাতেই আছেন রবীন। এদিকে এই ঘটনার খবর জানতে পারেন শুভেন্দু। শনিবার রাতে দাসপুরে দলীয় কর্মসূচি সেরে ফেরার পথে মারিশদা থানায় গিয়ে পুলিশ আধিকারিকদের রীতিমতো তুলোধুনো করেন শুভেন্দু অধিকারী। রাত ১০টা ১৫ মিনিট থেকে ১০টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত মারিশদা থানায় ধরনা দেন তিনি।