সরকারি কর্মীকে মারধরের ঘটনায় অভিযুক্ত হলেন তৃণমূলের প্রাক্তন কাউন্সিলর। ঘটনাটি ঘটে উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জের ৪ নম্বর ওয়ার্ডে। অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা আদেশ মাহাতোর অবশ্য অভিযোগ, এলাকায় ক্ষমতা বিস্তারের লক্ষ্যে সন্ত্রাসের আবহাওয়া তৈরি করছিলেন সরকারি কর্মী। তৃণমূল নেতার দাবি, এলাকায় এই নিয়ে বিবাদ ঠেকাতে গিয়ে হেনস্থার শিকার হতে হয় তাঁকেই। এদিকে আদেশের এই দাবি উড়িয়েছেন নিগৃহীত সরকারি কর্মী। দুই পক্ষই পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে নিগৃহীত ব্যক্তির নাম শিবশঙ্কর মণ্ডল। তিনি গঙ্গারামপুরে বিডিও অফিসে নির্মাণ সহায়ক। রায়গঞ্জের ৪ নম্বর ওয়ার্ডেরই বাসিন্দা তিনি। সেই ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর তথা বর্তমানে তৃণমূলের ওয়ার্ড প্রেসিডেন্ট হলেন আদেশ মাহাতো। অভিযোগ, শিবশঙ্করকে তাঁর বাড়ির সামনেই বেধড়ক মারধর করেন আদেশ। অভিযোগ, দুস্কৃতী বাহিনী নিয়ে নিয়ে এলাকা দখল করতে চান অদেশ।
সংবাদমাধ্যমকে ঘটনা প্রসঙ্গে নিগৃহীত শিবশঙ্কর মণ্ডল জানান, রাতে তাঁর বাড়ি থেকে ডেকে বের করে আনে একদল যুবক হুমকি দেয়। এরপর সেই যুবকদের সঙ্গে কথাকাটাকাটি হয় শিবশঙ্করের। তার পর ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকা আদেশ মাহাতোর উসকানিতে তাঁর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে সেই যুবকের দল। এমনকি তাঁকে প্রাণে মারার চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ সরকারি কর্মচারীর। তবে মারধরের আসল কারণ সম্পর্কে স্পষ্ট ভাবে কিছু জানাননি শিবশঙ্করবাবু। আপাতত তিনি রায়গঞ্জ মেডিকেলে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি। আদেশ মাহাতোর বিরুদ্ধে শুক্রবার পুলিশে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।
এদিকে আদেশবাবুর পালটা অভিযোগ, রাতে দুই পক্ষের বিবাদ চলছিল। ঘটনাস্থলে বিবাদ মেটাতে গেলে তাঁর উপরই নাকি চড়াও হন শিবশঙ্কর। পরিস্থিতি শান্ত করতে গিয়েই নাকি ঘটনায় জড়িয়ে পড়েন তিনি। শারীরিক ভাবে হেনস্থার শিকার হন তিনি। আদেশবাবুও শিবশঙ্করের বিরুদ্ধে রায়গঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। তবে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ার কথা তিনি মেনে নেন।