বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > খুব স্বস্তির বিষয় রবীন্দ্রনাথ আজ আর নেই-ফের বিতর্কিত মন্তব্য বিশ্বভারতীর উপাচার্যের

খুব স্বস্তির বিষয় রবীন্দ্রনাথ আজ আর নেই-ফের বিতর্কিত মন্তব্য বিশ্বভারতীর উপাচার্যের

বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। ফাইল ছবি।

পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি নিয়েও সমালোচনা করেন বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। তিনি বলেন, ‘যারা মোটা টাকার বেতন ভোগ করেন, বিপজ্জনক, দুর্নীতিগ্রস্তরা নিজেদের গুরুদেব ঠাকুরের উত্তরাধিকারের তত্ত্বাবধায়ক বলে দাবি করে, তারা প্রকৃতপক্ষে প্রতিষ্ঠানের ক্ষতি এবং সুনাম নষ্ট করার কর্মকাণ্ডে যুক্ত থাকছেন।

বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে ঘিরে বিতর্ক থামছেই না। দুর্গাপুজো নিয়ে মন্তব্য করে এবার বিতর্কে জড়ালেন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে ’উপাচার্যের ডেস্ক থেকে’ নামক একটি লেখায় বিভিন্ন বিষয়ে ব্যাখ্যা দেন উপাচার্য। সেখানে মহাত্মা গান্ধী থেকে শুরু করে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, নীরদ চৌধুরী সহ অনেকের নাম তুলে ধরে বিভিন্ন কথা লেখেন উপাচার্য। তিনি লেখেন, ‘এটা খুবই স্বস্তির বিষয় যে নীরদ চৌধুরী, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও সজনীকান্ত দাস আর নেই। নইলে নীরদ চৌধুরীকে মত প্রকাশের জন্য স্বাধীন ভারতে রাষ্ট্রীয় এজেন্সি দ্বারা হয়রানি হতে হতো। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরও চরিত্র পুজোয় মতামত প্রকাশের জন্য সমানভাবে নির্যাতিত হতেন এবং সজনীকান্ত দাস তথাকথিত বুদ্ধিজীবীদের ক্রোধের সম্মুখীন হতেন।   রাজনারায়ণ বসুও রাজনৈতিকভাবে প্রকৌশলী আইন প্রয়োগকারী সংস্থার দ্বারা হয়রানির শিকার হতেন।’ 

আরও পড়ুন: ‘‌রবীন্দ্রনাথ নিজেই অশিক্ষিত’‌, শান্তিনিকেতনে উপাচার্যের ভাষণে বিতর্ক

পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি নিয়েও সমালোচনা করেন বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। তিনি বলেন, ‘যারা মোটা টাকার বেতন ভোগ করেন, বিপজ্জনক, দুর্নীতিগ্রস্তরা নিজেদের গুরুদেব ঠাকুরের উত্তরাধিকারের তত্ত্বাবধায়ক বলে দাবি করে, তারা প্রকৃতপক্ষে প্রতিষ্ঠানের ক্ষতি এবং সুনাম নষ্ট করার কর্মকাণ্ডে যুক্ত থাকছেন। আগে বিশ্বভারতী দুর্নীতিগ্রস্ত থাকলেও এখন সেখানে দুর্নীতি বন্ধে পদক্ষেপ করেছে প্রশাসন। বর্তমান প্রশাসন বিপথগামী শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মীদের কাছ থেকে বেআইনিভাবে বেতন বৃদ্ধি বন্ধ করার ফলে ৫ কোটি টাকা উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে অবৈধভাবে বরাদ্দ হওয়া ১৫ একর জমি বর্তমান প্রশাসন পুনরুদ্ধার করেছে।’

যদিও উপাচার্যের এ বক্তব্যকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে রাজি নন অধ্যাপক কর্মীরা। তাঁদের বক্তব্য, উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটকে প্রচারের কাজে লাগাতে চাইছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৫০ টি মামলা এবং উপাচার্যের ব্যক্তিগত নামে নটি মামলায় এখন তাঁর হিমসিম অবস্থা। তবে উপাচার্যের এই ব্যাখ্যা ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। তবে এই বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই বাঙালি জাতিকে নিয়ে বিদ্বেষমূলক মন্তব্য করার অভিযোগ উঠেছিল উপাচার্যের বিরুদ্ধে। 

বন্ধ করুন