NCTE-র গাইডলাইনকে কাঁচকলা দেখিয়ে কী করে প্রশিক্ষণ ছাড়া চাকরি করছেন ৫,০০০ প্রাথমিক শিক্ষক? জবাবদিহি করে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে রিপোর্ট পেশ করতে নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ২০২০ সাল থেকে ওই শিক্ষকরা চাকরি করছেন বলে জানিয়েছেন মামলাকারীদের আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি।
কলকাতা হাইকোর্টে ৭ জন প্রাথমিকের চাকরিপ্রার্থী মামলা দায়ের করে অভিযোগ করেন, তাঁদের প্রশিক্ষণ থাকলেও নিয়োগ জোটেনি, অথচ প্রশিক্ষণ ছাড়াই চাকরি করছেন ৫,০০০ শিক্ষক। এরা প্রত্যেকে বিএড ডিগ্রিধারী। কিন্তু NCTE-র গাইডলাইন অনুসারে এরা কেউ এখনো ৬ মাসের ব্রিজ কোর্স করেনি। তার পরেও এদের বেতন দিয়ে চলেছে রাজ্য সরকার।
মামলাকারীর আইনজীবীর সওয়াল শুনে এদিন পর্ষদকে এব্যাপারে রিপোর্ট পেশের নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। এজন্য প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে ১০ দিন সময় দিয়েছেন তিনি। ১৮ অগাস্টের মধ্যে আদালতে রিপোর্ট পেশ করতে হবে পর্ষদকে।
মামলাকারীদের আইনজীবী জানান, ২০২০ সালে প্রায় ১৬,৫০০ শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিল প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ। সেখানে DleD প্রশিক্ষণপ্রাপ্তরা ছাড়া Bed ডিগ্রিধারীরাও আবেদন করতে পারবেন বলে জানানো হয়। এরকম প্রায় ৫,০০০ বিএড ডিগ্রি ধারীকে নিয়োগ করে পর্ষদ। কিন্ত NCTE-র গাইডলাইন অনুসারে এদের ৬ মাসের ব্রিজ কোর্স করা বাধ্যতামূলক। যা এখনো সম্পূর্ণ করেননি তাঁরা। পর্ষদের রিপোর্ট গ্রহণযোগ্য মনে না হলে এদের চাকরি থেকে বরখাস্ত করার নির্দেশ দিতে পারে আদালত।