কিছুতেই ঘুচছে না অনুব্রত মণ্ডলের প্রভাবশালী তকমা। গরুপাচার মামলায় কলকাতা হাইকোর্টে জামিন চেয়ে মামলা করেছিলেন। সেই মামলার শুনানিতে আজ, শুক্রবার শুনতে হল অনুব্রত মণ্ডল অনেক বেশি প্রভাবশালী। আর তাতেই জামিন নিয়ে বিপাকে পড়লেন বীরভূমের জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। ‘প্রভাবশালী তকমা’ বিচারপতির মুখ থেকে শুনতে হওয়ায় জামিন আপাতত মিলল না।
ঠিক কী বলেছেন বিচারপতি? আজ, শুক্রবার এই মামলার শুনানি ছিল কলকাতা হাইকোর্টে। সেখানে সওয়াল–জবাব চলাকালীন বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চ বলেন, ‘শুধু কয়েকজন সাক্ষী নন এক্ষেত্রে বিচারকও হুমকির শিকার! সুতরাং অনুব্রত মণ্ডল অনেক বেশি প্রভাবশালী এটা স্পষ্ট।’ এই শুনে অনুব্রতর আইনজীবী কপিল সিব্বল বলেন, ‘এই মামলায় অভিযুক্ত এনামুল হক জামিন পেয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট থেকে। জামিন দেওয়া হয়েছে সতীশ কুমারকেও। যিনি এই মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত।’
তারপর ঠিক কী ঘটল? এই মামলায় ইতিমধ্যেই চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে। প্রায় চার মাস জেলে রয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। ইডির এফআইআর খারিজ করার আবেদন করা হয়। অনুব্রতকে শুধু প্রভাবশালী তকমা দেওয়া হচ্ছে বলেও সওয়াল করা হয়। তখন বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী পাল্টা বলেন, ‘এটা বাস্তব যে যাঁরা জামিন পেয়েছেন, তাঁদের থেকে মামলাকারী অনেক বেশি প্রভাবশালী।’ এই সওয়াল–জবাবের মধ্যে জামিনের আবেদন করেও অনুব্রতের আইনজীবী কপিল সিব্বল মামলার শুনানি পিছিয়ে দিতে অনুরোধ করেন। তাই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ২৩ ডিসেম্বর।
অনুব্রতকে নিয়ে আর কী বললেন আইনজীবী? অনুব্রত মণ্ডলের আইনজীবী গোটা বিষয়টি নিয়ে আদালতকে বলেন, ‘এই বিষয়গুলি কেস ডায়রিতে লেখা থাকলেও প্রমাণিত সত্য নয়। প্রমাণ হলে তখন জামিন দেবেন না। এই মামলায় অনুব্রত মণ্ডল মূলচক্রী নন। এখনও পর্যন্ত অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে কোনও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পায়নি সিবিআই।’ তখন সিবিআই জামিনের বিরোধিতা করে আদালতে জানিয়ে দেয়, লালন শেখের মৃত্যুর পর এই মামলার তদন্তকারী অফিসারদের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়েছে। তাই এই অবস্থায় অনুব্রতের জামিন দেওয়াউচিত নয়।’